ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সম্পর্ক
১৯ জুলাই ২০১৩শেষ পর্যন্ত অবশ্য যোগফল শূন্যও হতে পারে৷ এখনো পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি নীতি চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, গবেষণা ও সহযোগিতা খাতে তাদের অনুদান শুধুমাত্র ইসরায়েলের মূল ভূখণ্ডের জন্য কার্যকর হবে৷ অধিকৃত এলাকার কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সেই সুযোগ পাবে না৷ শুক্রবারই এ বিষয়ে ইইউর ২৮টি সদস্য দেশের বৈঠকে একটি রূপরেখা চূড়ান্ত করার কথা৷ আপাতদৃষ্টিতে বিষয়টি তেমন গুরুত্বপূর্ণ মনে না হলেও এমন এক সিদ্ধান্তের অর্থ ইসরায়েলের বর্তমান সীমান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে অস্বীকার করা৷
ইসরায়েল এ নিয়ে উদ্বিগ্ন৷ সে দেশের প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেস ইইউকে আর্থিক সহায়তায় কোনো পরিবর্তন না আনার অনুরোধ জানিয়েছেন৷ এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘‘আগামী দিনগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ এক্ষুনি সিদ্ধান্ত নেবেননা৷ শান্তি প্রক্রিয়াকে অগ্রাধিকার দিন৷''
কিন্তু ফিলিস্তিন জানিয়ে রেখেছে ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি বন্ধ না হলে, গাজা উপত্যকা এবং পশ্চিম তীরকে ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে না নিলে, ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়৷ দু দেশের শান্তি আলোচনার পথে এ শর্তটিই সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা৷ ফিলিস্তিনের দাবি ঐতিহাসিকভাবে যত যৌক্তিকই হোক, ইসরায়েল তা মেনে নেয়ার লক্ষণ দেখায়নি৷ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি তারপরও আশাবাদী৷ অচলাবস্থা কাটতে পারে এ আশায় মধ্যপ্রাচ্য সফর আরো দীর্ঘ করেছেন তিনি৷ ইসরায়েলের তরফ থেকে সম্প্রতি কিছুটা নমনীয়তা দেখা গেছে৷ পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে উত্তর রামাল্লাহ এবং বাইত হাগাইয়ের দুটি রাস্তা ফিলিস্তিনিদের অবাধ যাতায়াতের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে৷ জর্ডান সফর শেষ করার আগে তাই জন কেরি বলেছেন, ‘‘আমাদের দূরত্ব আরো কমছে৷ দু পক্ষ এক সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসবে এ ব্যাপারে আমি আশাবাদী৷''
এসিবি/ডিজি (এএফপি)