1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টায়ারের সমস্যা?

১৪ মে ২০১৩

বার্সেলোনায় যা ঘটেছে, তার টেকনিকাল নাম হল ‘টায়ার ডিগ্রেডেশন’ – অর্থাৎ টায়ার কত তাড়াতাড়ি খারাপ হয়৷ ফর্মুলা ওয়ানের ঐ এঁকাবেঁকা সার্কিটে হালকা-পলকা গাড়িগুলো নিয়মিত ৩০০’র উপর স্পিড তুলে থাকে৷

https://p.dw.com/p/18WzD
ছবি: picture-alliance/dpa

ঐ রকম প্রতিযোগিতামূলক, আগ্রাসী ড্রাইভিং-এ যে টায়ারের বারোটা বাজবে, সেটা তো জানাই কথা৷ কোয়ালিফাইং থেকেই শুরু হয়ে যায় ব্যবহৃত টায়ার, না অব্যবহৃত টয়ারের খেল৷ রেস যদি বা শুরু হল, চলল হার্ড, না মিডিয়াম, না সফ্ট টায়ার নিয়ে চিন্তাভাবনা: ট্র্যাক শুকনো না ভেজা; বৃষ্টি হবে কি হবে না, এই সব নানা হিসেবনিকেশ৷

পিট স্টপ মানেই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে গাড়ির টায়ারগুলো বদলে দেওয়া হয়৷ টেলিভিশনের ছবিতে দেখা যায়, মাত্র কয়েক রাউন্ডের মধ্যে ঐ চওড়া, পুরু টায়ারগুলোর কি দশা হচ্ছে! তার ওপর আবার আছে টায়ার গরম হওয়ার সমস্যা৷ সব মিলিয়ে: টায়ারের আমি, টায়ারের তুমি, টায়ার দিয়ে যায় চেনা৷ রবিবার বার্সেলোনাতে ঠিক যেমনটা ঘটেছে৷

Fernando Alonso
ফের্নান্দো আলন্সোছবি: dapd

পিরেল্লির টায়ার

বলতে কি, ফের্নান্দো আলন্সো যে দুই জার্মান সেবাস্টিয়ান ফেটেল ও নিকো রসবের্গকে পিছনে ফেলে রেসটা জিততে পেরেছেন, তার কারণই হল ঐ পিরেল্লির টায়ার৷ বস্তুত আলন্সোর টায়ারের ওপরের স্তরটা ছিঁড়ে যাবার পর সে টায়ার ফেটে যাওয়াই উচিত ছিল৷ কিন্তু ফর্মুলা ওয়ানের টায়ার সরবরাহকারী পিরেল্লি এ বছর থেকে টায়ারের প্রথম স্তরের তলায় একটি ‘হাই টেনসাইল স্টিল বেল্ট', অর্থাৎ অতি নমনীয় ইস্পাতের বেল্ট লাগিয়েছে, যার ফলে চাকার ওপরের স্তরের রবারে খোঁচাখুছি লাগলেও টায়ার বার্স্ট করার কোনো শঙ্কা নেই৷ তার কল্যাণেই আলন্সো বার্সেলোনায় জিততে পেরেছেন, যদিও চারবার পিট স্টপ করে৷

গোটা রেসটা জুড়েই দেখা গেছে যে, পিরেল্লির হার্ড টায়ারগুলো যথেষ্ট টেঁকসই নয়, যে কারণে আলন্সোকে চারবার পিটে আসতে হয়েছে; সেবাস্টিয়ান আর ফেলিপে মাসাকেও চারবার; একমাত্র কিমি রাইক্কোনেনই তাঁর লোটাস গাড়ি নিয়ে তিনটে পিটস্টপেই সেরে দিয়েছেন৷ সব মিলিয়ে এ মরশুমে টায়ার নিয়ে ঘটছেটা যে কি, তা খোদ ড্রাইভাররাই বুঝে উঠতে পারছেন না৷

পিট স্টপ

বার্সেলোনার স্প্যানিশ গ্রঁ প্রি-তে এবার সব মিলেয়ে পিট স্টপ ছিল ৮০ বার! মার্সিডিজ কোয়ালিফাইং-এ পোল এবং দ্বিতীয় পোজিশন, গ্রিডের গোটা প্রথম সারিটা দখল করা সত্ত্বেও, তাদের টায়ার এত তাড়াতাড়ি খারাপ হয় যে, নিকো রসবের্গ এবং লিউয়িস হ্যামিলটন, দু'জনকেই স্পিড কমিয়ে গাড়ি চালাতে হয়েছে: শুধু টায়ার বাঁচানোর জন্য৷ ফল: রসবের্গ প্রথম হিসেবে শুরু করে হয়েছেন ষষ্ঠ; হ্যামিলটন দ্বিতীয় হিসেবে শুরু করে শেষে দ্বাদশ৷

Formel 1 Südkorea Siegerehrung
সেবাস্টিয়ান ফেটেলছবি: Reuters

তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন সেবাস্টিয়ান ফেটেলেরও একই অভিযোগ: টায়ারের কারণে রেড বুলকেও গতি কমাতে হয়েছে৷ এ কেমন পরিস্থিতি, যেখানে রেস বিজয়ী আলন্সোকেও বলতে হয়: দর্শকদের পক্ষে এটা একটা ধাঁধা, কারো পক্ষে একটা রেস ফলো করাই শক্ত৷ – শক্ত, কেননা টায়ারের ভালোমন্দের সঙ্গে সঙ্গে পিট স্টপ স্ট্র্যাটেজি জড়িত৷ আশিটা পিট স্টপের দিকে নজর রেখে, কে কার আগে-পরে, কার স্পিড বেশি-কম, কে ভালো চালাচ্ছে, কে খারাপ চালাচ্ছে, এ সবের হিসেব রাখে কার সাধ্য?

গতির কথা উঠলে

ম্যাকলারেনের জেনসন বাটন বলেছেন, ‘‘পুরো ব্যাপারটাতে তালগোল, খুবই গোলমেলে....আমরা কোয়ালিফাইং-এ যা ছিলাম, রেসে (রাউন্ড প্রতি) তার চেয়ে বারো সেকেন্ড স্লো৷'' পিরেল্লির মোটরস্পোর্ট প্রধান পল হেমবেরি কিন্তু এ সব কথা শুনতে চান না৷ তাঁর বক্তব্য হল, টায়ার যদি এতটা ডিগ্রেডেবল না হতো, মানে ক্ষয়ে না যেত, তাহলে রেড বুলকে চ্যাম্পিয়নশিপটা হাতে তুলে দিতেই হতো৷ কেননা শুধুমাত্র গতির কথা ভাবলে, রেড বুল এখনও সবার সামনে৷

পিরেল্লি অবশ্য আশা দিয়েছে যে, টায়ারের ব্যাপারে একটা কিছু করা হচ্ছে এবং ৩০শে জুন সিলভারস্টোনে ব্রিটিশ গ্রঁ প্রি-তেই সেটা দেখা যাবে৷ তবে তার আগে মোনোকো এবং ক্যানাডার রেস দু'টো থাকছে৷

এসি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য