ফখরুল-আব্বাসদের ডিভিশন চাইতে হাইকোর্টে
১৩ ডিসেম্বর ২০২২বিএনপি নেতাদের জামিনের জন্যও নতুন করে আবেদন করা হবে জজ আদালতে৷
ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বিএনপি নেতাদের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেসবাহ এবং মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, মঙ্গলবারই তারা হাইকোর্টে কারাগারে ডিভিশনের বিষয়ে একটি আবেদন করবেন৷
"কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশনের যে আদেশ আদালত দিয়েছে, তা কারা কর্তৃপক্ষের মান্য করা উচিত, কেননা তাদের মধ্যে অনেকেই (গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা) ছিলেন মন্ত্রী ও এমপি৷”
নয়া পল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় কারাগারে আছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস৷
গত ৯ ডিসেম্বর তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হলে ঢাকার হাকিম আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় ৷ আইনজীবীদের আবেদনে সেদিন কারাবিধি অনুযায়ী আসামিদের ডিভিশন দেওয়ারও আদেশ দেয় আদালত৷
তার আগের দিন ৮ ডিসেম্বর বিএনপির ৪৫১ নেতাকর্মীকে তিন মামলায় কারাগারে পাঠায় হাকিম আদালত, এছাড়া ২৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রিমান্ডে পাঠানো হয়৷
নয়া পল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়৷ গ্রেপ্তারদের মধ্যে জামিন পান কেবল বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল৷
পল্টন থানার মামলায় যাদের কারাগারে পাঠানো হয়, তাদের মধ্যে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস ছালাম, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবীর খোকন, চেয়ারপারসেন বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসও ছিলেন৷
প্রথম দফা জামিন নাকচ হওয়ার পর রোববার ২২৪ বিএনপি নেতাকর্মীর জামিন চেয়ে আবারও আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা৷ সোমবার শুনানি শেষে তা নাকচ করে দেন ঢাকার মহানগর হাকিম শফিউদ্দিন৷
জয়নুল আবেদীন মেসবাহ বলেন, জামিন নাকচের ওই আদেশের বিরুদ্ধে তারা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করবেন দুয়েকদিনে মধ্যে৷
দেশের রাজনীতিতে বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ ঘিরে গত কিছুদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে৷ বিএনপি নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ করতে চেয়েছিল কিন্তু পুলিশ তাদের অনুমতি দিয়েছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহারের৷ এ নিয়ে অনড় অবস্থানে ছিল দুই পক্ষ৷
গত বুধবার বিএনপি কর্মীরা নয়া পল্টনে জড়ো হলে পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয় এবং সংঘর্ষের মধ্যে আহত স্বেচ্ছাসেবক দলের এক ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতার মৃত্যু হয় হাসপাতালে৷
পরে পুলিশের তরফ থেকে বিএনপি অফিসে অভিযান চালিয়ে হাতবোমা পাওয়ার কথা বলা হয়৷ গ্রেপ্তার করা হয় প্রায় পাঁচশ নেতাকর্মীকে, দায়ের করা হয় মোট চারটি মামলা৷
অনেক টানাপড়েন শেষে পুলিশের অনুমতি পেয়ে ১০ ডিসেম্বর বিএনপি সমাবেশ করে যাত্রাবাড়ীর গোলাপবাগ মাঠে৷উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেই সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয় ৷ নেতাদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবি ও বিক্ষোভের নতুন কর্মসূচি দিয়ে সমাবেশ শেষ করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা৷
এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)