1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রিজম কেলেঙ্কারি

ডিয়ানা পেসলার/এসবি১০ জুলাই ২০১৩

মস্কো বিমানবন্দরে আটকে পড়া এডোয়ার্ড স্নোডেন-এর কণ্ঠ বন্ধ হয় নি৷ জার্মানির ‘ডেয়ার স্পিগেল’ পত্রিকার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জার্মান গোয়েন্দা সংস্থা বিএনডি সম্পর্কে বিস্ফোরক দাবি করেছেন৷

https://p.dw.com/p/194rB
ছবি: Mladen Antonov/AFP/Getty Images

অ্যামেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এনএসএ-র প্রাক্তন কর্মী এডোয়ার্ড স্নোডেন প্রথমে দাবি করেন, এনএসএ ইউরোপের উপর ঢালাও নজরদারি চালিয়ে আসছে৷ শুধু সাধারণ নাগরিক নয়, কূটনৈতিক বা সরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানেও সুপরিকল্পিতভাবে এই কাজ চালানো হচ্ছে৷ প্রথমে হংকং, তারপর মস্কোয় গিয়েও তিনি একের পর এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন৷ সঙ্গে চারটি ল্যাপটপ, অনলাইনেও নাকি রাখা আছে অনেক গোপন তথ্য৷ তাই তাঁকে কেউ ঘাঁটাতে সাহস পাচ্ছে না৷

তিনি যে সব দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছিলেন, তার মধ্যে জার্মানিও অন্যতম৷ ইউরোপের অনেক দেশের মতো জার্মানিতেও এনএসএ-র কার্যকলাপ নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে৷ সেই জার্মানিরই ‘ডেয়ার স্পিগেল' পত্রিকার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, বিস্ময়ের কোনো কারণ নেই৷ খোদ জার্মানির গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও এনএসএ-র পাপের দোসর৷ অথচ জার্মানির তিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান সংসদীয় কমিটির সামনে দাবি করেছিলেন, তাঁরা মার্কিন ‘প্রিজম' কর্মসূচি সম্পর্কে কিছুই জানতেন না৷

Edward Snowden
এডোয়ার্ড স্নোডেনছবি: The Guardian/Getty Images

কিন্তু জার্মান কর্তৃপক্ষের এই দাবি কতটা বিশ্বাসযোগ্য৷ ডয়চে ভেলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বিরোধী সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দলের সাংসদ টোমাস ওপারমান প্রশ্ন তুলেছেন, এনএসএ প্রতি মাসে শুধু জার্মানিতেই আড়ি পেতে ৫০ কোটি টেলিফোন সংলাপ, এসএমএস এবং ই-মেল সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে৷ এখানে কেউ কিছু জানতো না, এটা বিশ্বাস করা সত্যি কঠিন৷

গোয়েন্দা সংস্থা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ এরিশ শ্মিট এনবোম আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে চান৷ তাঁর বিশ্বাস, জার্মান কর্তৃপক্ষ অ্যামেরিকার গোয়েন্দাগিরি সম্পর্কে শুধু জানতোই না, অবৈধভাবে সংগ্রহ করা সেই তথ্য কাজেও লাগানো হয়েছে৷ বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে নির্ঘাত সেই তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে৷ ন্যাটো পর্যায়ে এ ক্ষেত্রে ব্যাপক মাত্রায় সহযোগিতার কাঠামো রয়েছে৷ তাই মৌলিক অধিকার খর্ব হলেও বিএনডি নীরব থাকতে চাইবে, এতে বিস্ময়ের কারণ থাকতে পারে না৷

Screenshot Spiegel Online Englisch Startseite vom 30. Juni 2013
স্পিগেল পত্রিকার রিপোর্টছবি: Spiegel Online

আসলে জার্মান কর্তৃপক্ষের সামনে অন্যদের উপর নির্ভর করা ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা নেই বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ৷ কারণ তাদের অর্থাভাব ও লোকাভাব৷ তাছাড়া কড়া আইনের কারণেও তাদের হাতপা বাঁধা৷ বন্ধুভাবাপন্ন বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলির কাছ থেকে সহায়তা নেওয়ার ক্ষেত্রে আরও একটি দিক আছে৷ তারা সাধারণত সরাসরি তথ্য দেয় না, সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে কোনো হামলা বা ঘটনার পূর্বাভাষ দেয়৷ সে ক্ষেত্রে প্রাপককে দায়ী করা কঠিন৷

নাইন-ইলেভেনের পর থেকে অ্যামেরিকা ও জার্মানির কর্তৃপক্ষের মধ্যে সহযোগিতা অনেক বেড়ে গেছে৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেও তৎকালীন পশ্চিম জার্মানির সঙ্গে অ্যামেরিকার ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার ইতিহাস রয়েছে৷

এডোয়ার্ড স্নোডেন-এর দাবি কতটা সত্য, তা জানতে জার্মানির সরকার ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি ওয়াশিংটন সফর করছেন৷ তারা দেশে ফিরে কী বলেন, তার জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে জার্মানির মানুষ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য