প্রাক্তন কর্নেলকে জার্মানির রাষ্ট্রদূত করলেন ট্রাম্প
২৮ জুলাই ২০২০সেনা থেকে অবসর নেওয়ার পর ম্যাকগ্রেগর ফক্স নিউজের ভাষ্যকার ছিলেন। তিনি জার্মানির সামরিক ইতিহাসও লিখেছেন। ম্যাকগ্রেগর মধ্য প্রাচ্যে মার্কিন অপারেশনের খোলাখুলি সমালোচনা করে থাকেন। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ম্যাকগ্রেগর হলেন ফোর্স ডিজাইন ও রণকৌশল বিশেষজ্ঞ।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি রেডিও ও টিভিতে নিয়মিত বিশ্লেষণ করেন। সামরিক বিষয়ে তাঁর লেখা অ্যামেরিকা, ন্যাটো ও ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীকে যথেষ্ট প্রভাবিত করে।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে এ বার অনুমোদন করবে মার্কিন সেনেট। তবে সেখানে প্রেসিডেন্টের দল রিপাবলিকান পার্টির গরিষ্ঠতা আছে। ফলে ছাড়পত্র পেতে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
ম্যাকগ্রেগর ইরাক যুদ্ধের কট্টর সমালোচক। ফক্স নিউজে তিনি সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার করা নিয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
ম্যাকগ্রেগর ১৯৭৬ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত মার্কিন সেনাবাহিনীতে ছিলেন। সেখান থেকে অবসর নেওয়ার পর তাঁকে টিভিতে বিশেষজ্ঞ হিসাবে প্রায়ই বলতে দেখা গেছে। তাঁর মত হলো, ইরাক বা সিরিয়ায় অ্যামেরিকার কোনো স্বার্থ নেই। আর ইরান নয়, তাঁর মতে, অ্যমেরিকার কাছে বিপদের কারণ হলো তুরস্ক। ম্যাকগ্রেগর সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে পূর্ব জার্মানির সম্পর্ক নিয়ে গবেষণাও করেছেন।
এই বছরের জুনে ট্রাম্প জার্মানি থেকে সাড়ে নয় হাজার মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, অ্যামেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে জার্মানি যুক্তিপূর্ণ ব্যবহার করছে না। তাঁর এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে জার্মানি।
ম্যাকগ্রেগর যাঁর জায়গায় জার্মানির রাষ্ট্রদূত হতে চলেছেন, সেই রিচার্ড গ্রেনেলও খোলাখুলি কথা বলতে ভালোবাসতেন। তিনি রাষ্ট্রদূত থাকার সময় ইউরোপ জুড়ে দক্ষিণপন্থীদের ক্ষমতায়ণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিতর্কের ঝড় তুলেছিলেন। গত ১ জুন তিনি রাষ্ট্রদূতের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তার ডিরেক্টর হয়েছেন।
জিএইচ/এসজি(এএফপি, ডিপিএ)