1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রতিশ্রুতি পূরণ হচ্ছে না, রাজ্যকে সাত দফা দাবি চিকিৎসকদের

২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাজ্য সরকার তাদের প্রতিশ্রুতিপূরণ করছে না অভিযোগ করে মুখ্যসচিবের কাছে সাত দফা দাবি ই মেইল করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

https://p.dw.com/p/4l5jr
আরজি করের ধর্ষিত ও নিহত চিকিৎসককে এখনো ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতি পূরণ করছে না অভিয়োগ করে চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সাত দফা দাবি পেশ করলো জুনিয়র ডাক্তাররা। ছবি: Subrata Goswami/DW

বৃহস্পতিবার সকালে জুনিয়র ডাক্তাররা এই ই মেইল মুখ্যসচিবের কাছে পাঠান। তারা এখন রাজ্য সরকারের জবাবের অপেক্ষায় আছেন। প্রয়োজন হলে তারা যে আবার আন্দোলনে নামবেন, সেকথাও জানাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

তারা মুখ্যসচিবের কাছে যে দাবিগুলি করেছেন, তার মধ্যে আছে, থ্রেট কালচার বা হুমকি সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় স্তরে অনুসন্ধান কমিটি করতে হবে।  প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও আবাসিক চিকিৎসকদের নিয়ে অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান কমিটি তৈরি করতে হবে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। সাতটি কাজের দিনের মধ্যে মেডিক্যাল কাউন্সিল ও হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের অভিযুক্ত সদস্যদের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচার নিয়ে কমিটি করতে হবে। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে সব মেডিক্যাল কলেজে নজরদারি কমিটি করতে হবে। বদলি নীতি স্বচ্ছ্ব করতে হবে।

অভিযুক্তদের তাড়া করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা

আরজি করে থ্রেট কালচার বা হুমকি সংস্কৃতিতে অভিযুক্ত ১২জন চিকিৎসককে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। হুমকি দেয়া এবং থ্রেট সিন্ডিকেট চালানোর অভিযোগ নিয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি তাদের ডেকে পাঠায়। যাদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল, তাদের মধ্যে চিকিৎসক ছাড়াও চিকিৎসাকর্মীরাও ছিলেন। 

আরজি করে ৫১ জনের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের অভিযোগ আছে। অভিযুক্তদের দফায় দফায় ডেকে পাঠিয়ে তাদের বক্তব্য শোনা হচ্ছে। বুধবার এমনই ১২ জনকে ডেকে পাঠানো হয়। 

তারা যখন ঢুকছিলেন তখনই জুনিয়র ডাক্তাররা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তাদের লক্ষ্য করে চোর চোর স্লোগানও দেয়া হয়। কিন্তু তারা যখন তদন্ত কমিটির কাছে নিজেদের কথা বলে বেরোচ্ছেন তখন উত্তেজনা প্রবল হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতেই ধস্তাধস্তি হয় বলে অভিযোগ। কয়েকজন অভিযুক্তের জামা ছিঁড়ে যায়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাদের নিয়ে বের হয়ে যান। জুনিয়র ডাক্তাররা অভিযুক্তদের তাড়া করেন বলে অভিযোগ। 

কলকাতার আরজি কর হাসপাতাল।
জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ দিলেও আরজি করে এখনো উত্তেজনা রয়েছে। ছবি: Subrata Goswami/DW

জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, তারা কাউতে মারেননি। কারো জামাও ছেঁড়েননি। অভিযুক্তরাই নিজেদের জামা ছিঁড়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।

রাতে বৈঠক

রাতে জুনিয়র ডাক্তাররা বৈঠকে বসেন।  তারপর দেবাশিস হালদার বলেন, রোগী, পরিষেবা ও চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিয়ে রাজ্য সরকার গয়ংগচ্ছ মনোভাব নিয়ে চলছে। এরকম চলতে থাকলে তারা আন্দোলনকে আরো তীব্র করবেন। 

তাদের দাবি, রাজ্য সরকার তাদের দাবিপূরণের ক্ষেত্রে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। তারা এই দাবি নিয়ে আবার বৈঠকে বসতে চান। 

জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, কর্মবিরতি তুলে নেয়ার পর তাদের অনেক সদস্য প্রতিহিংসার মুখে পড়েছেন।  যারা রাতদখলের আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হচ্ছে। সব মামলা তুলে নিতে হবে। এই ধরনের কাজ বন্ধ করতে হবে। না হলে, তারা আন্দোলন আরো তীব্র করবেন। 

রাজনীতি নয়

জুনিয়র ডাক্তাররা বুধবার জানিয়েছেন, কোনো রাজনৈতিক দলকে তাদের আন্দোলনকে ব্যবহার করতে দেবেন না। দেবাশিস হালদার বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলি প্রথম থেকেই আমাদের আন্দোলনকে ব্যবহার করতে চাইছে। আমরা একাধিকবার জানিয়েছি, হাথরস, কাঠুয়া, উন্নাওতে যারা ধর্ষকদের মালা পরিয়েছেন, তারা আমাদের আন্দোলনকে ব্যবহার করতে পারবেন না। আমরা দেব না। জনগণও দেবে না। 

তার অভিযোগ,ওই দলের কিছু নেতা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে মহালয়ায় নির্যাতিতার জন্য আমরা তর্পণ করব বলে মিথ্যা খবর ছড়িয়েছেন। এই কর্মসূচির সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের যোগ নেই। আমরা প্রথম থেকে রাজনীতিকদের প্রত্যাখ্যান করেছি। ভবিষ্যতেও করব। 

জিএইচ/এসজি(এএনআই, পিটিআই)