পোশাক শ্রমিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ
২৬ নভেম্বর ২০১২দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম দেশ বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রফতানিতে দিন দিন সুনাম কুড়াচ্ছে৷ বিপরীত দিকে পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার জন্য দুর্নামও কুড়িয়ে যাচ্ছে৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্য মতে, বিগত ২০০৬ সালে চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় আগুন লেগে গেলে ৮৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছিলো৷ শনিবার রাতে রাজধানী ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার তাজরিন ফ্যাশন নামে কারখানাটিতে আগুন লাগলে অন্তত ১১২ জন মানুষ প্রাণ হারায়৷ নীচের দিকে আগুন লাগায় শ্রমিকেদের অনেকে আটকা পড়ে ওপরে৷ প্রাণে বাঁচতে অনেকে নয় তলা ভবনের জানালা ভেঙ্গে লাফ দিলে নিহত হয়৷
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, তাজরিন ফ্যাশন নামে কারখানাটি গত ২০০৯ সালে চালু হয়৷ সেখানে কাজ করতো ১,৬৩০ জন শ্রমিক৷ এই কারখানা থেকে ইউরোপের সি অ্যান্ড এ এবং হংকং এর লি অ্যান্ড ফুং এর মতো নামকরা ব্র্যান্ডের পোশাক সরবরাহ করা হতো৷ সি অ্যান্ড এ কোম্পানির মুখপাত্র থর্স্টেন রল্ফস এএফপিকে জানিয়েছেন, তারা এই কারখানায় ২,২০,০০০ সোয়েটার তৈরির অর্ডার দিয়েছিলেন৷
এদিকে এই অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ তাজরিন ফ্যাশনের মালিক প্রতিষ্ঠান টুবা গ্রুপের দাবি, কারখানাটিতে ৬০ টি ধোঁয়া শনাক্তকরণ এবং ২০০টি অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র ছিলো৷ বাংলাদেশে মাঝে মধ্যেই পোশাক কারখানাতে আগুন লাগে এবং তাতে পোশাক শ্রমিকরা প্রাণ হারায়৷ আমস্টারডাম ভিত্তিক ক্লিন ক্লোথ ক্যাম্পেইন এর তথ্য মতে, গত ২০০৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫০০ শ্রমিক আগুনে পুড়ে মারা গেছে৷ এইসব কারখানাকে মরণ ফাঁদ বলে অভিহিত করেন ক্যাম্পেইনের মুখপাত্রী ইনিকে সেলডেনরুস্ট৷ উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে পাকিস্তানেও পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে৷ তাতে মারা যায় ২৮৯ জন পোশাক শ্রমিক৷
আরআই/এএইচ (এএফপি, রয়টার্স)