বস্তিতে আগুন, নিহত ১১
১৮ নভেম্বর ২০১২শনিবার রাতে তারা সবাই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন৷ আর ঠিক তখনই আগুন লাগে ঢাকার হাজারিবাগের বৌবাজার বস্তিতে৷ রাত ৩টার আগে আগুন লাগলেও তা নিয়ন্ত্রণে আসে সকাল ৭টার দিকে৷ ততক্ষণে পুরো বস্তি পুড়ে ছাই হয়ে যায়৷
সকালে বস্তির পোড়া ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে মোট ১১টি মৃত দেহ বের করা হয়৷ এর মধ্যে ৬ জন নারী এবং ৫টি শিশু৷ কেউ হারিয়েছেন মা, কেউ স্ত্রী আবার কেউবা সন্তান৷ সব হারিয়ে তাদের বিলাপ করা ছাড়া যেন আর কিছুই নেই৷ কেউ কেউ অভিযোগ করেন ফায়ার সার্ভিসের লোকজন সময়মতো আসেনি৷ আসলে হয়তো ক্ষয়ক্ষতি কমানো যেত৷
তবে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক মেজর মাহবুবুর রহমান জানান, খবর পেয়েই তারা ছুটে এসেছে, তাদের ১৭টি ইউনিট কাজ করেছে৷ তারা তাদের দায়িত্বে কোন অবহেলা করেনি৷
কীভাবে আগুন লেগেছে তা এখনো জানা না গেলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বস্তির ভিতরে একটি রিকশা গ্যারেজ থেকে আগুনের শুরু৷ আর ওই গ্যারেজে থাকা একটি জ্বালানি তেল ভর্তি ড্রাম ফেটে গেলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে৷ যারা মারা গেছে তাদের অধিকাংশই গ্যারেজের আশপাশের বাসিন্দা৷
যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাহজাহান খান, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গির কবির নানক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন৷ জাহাঙ্গির কবির নানক জানন, ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরণের সহায়তা দেয়া হবে সরকারের পক্ষ থেকে৷
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ঘটনায় নিহতদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি শোক এবং সমবেদনা জানিয়েছেন৷ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সব ধরণের সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি৷ বলেছেন ফায়ার সার্ভিসকে আরো আধুনিক এবং দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে৷