1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অসন্তোষ কমছে না

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৪ নভেম্বর ২০১৩

ন্যূনতম মজুরি নিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারাখানার শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ ক্রমেই বাড়ছে৷ গত এক সপ্তাহ ধরে ঢাকার আশপাশ এলাকায় অব্যাহত শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে পোশাক কারখানাগুলো বলতে গেলে বন্ধই ছিল৷

https://p.dw.com/p/1AGdc
Workers shout slogans as they protest against the death of their colleagues after a devastating fire in a garment factory which killed more than 100 people, in Savar November 26, 2012. Thousands of angry textile workers demonstrated in the outskirts of Dhaka on Monday after a fire swept through a garment workshop at the weekend, killing more than 100 people in Bangladesh's worst-ever factory blaze. REUTERS/Andrew Biraj (BANGLADESH - Tags: DISASTER BUSINESS TEXTILE EMPLOYMENT CIVIL UNREST)
ছবি: Reuters

বুধবারও শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে প্রায় ৭৫০টি পোশাক কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে৷

কয়েক দিন ধরে শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে আশুলিয়ার ১০০ পোশাক কারখানা বুধবার বন্ধ ছিল৷ কিন্তু আশুলিয়ার পোশাক কারখানা বন্ধ থাকলেও বুধবার বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সাভার, টঙ্গী ও গাজীপুরে৷ জানা গেছে, এসব এলাকার পোশাক কারখানার শ্রমিকরা সকাল থেকেই কাজ বন্ধ করে সর্বনিম্ন মজুরি ৮,০০০ টাকার দাবিতে বিক্ষোভ এবং ভাঙচুর করে৷

সাভার, গাজীপুর, টঙ্গী ও হেমায়েতপুরে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে৷ এই ঘটনায় ৩০ জন শ্রমিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে৷

বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, মালিকদের কথার অস্বচ্ছতার কারণেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷ মালিকরা মুখে মজুরি বোর্ড ঘোষিত ৫,৩০০ টাকা সর্বনিম্ন মজুরি বিবেচনার কথা বললেও এর বিরুদ্ধে আপিল করেছেন৷ তাই শ্রমিকরা মালিকদের বিশ্বাস করতে পারছেন না৷ তাঁরা মনে করেন মালিকরা শেষ পর্যন্ত ৫,৩০০ টাকা মজুরিও মানবেন না৷ ফলে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দানা বাঁধছে৷ আর এই অসন্তোষ এবং ক্ষোভ থেকেই তাঁরা আন্দোলন করছেন৷

সিরাজুল ইসলাম জানান মালিকরা বলেছেন তাঁরা ৫,৩০০ টাকা মজুরি দেবেন, তবে শর্ত সাপেক্ষে৷ সরকার যদি তাঁদের কর রেয়াত এবং নগদ অর্থ সহায়তা বাড়িয়ে দেয় তাহলে তাঁরা নতুন মজুরি কার্যকর করবেন৷ এটা শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মনে করেন সিরাজুল ইসলাম৷

তিনি জানান, ২১ নভেম্বর মজুরি বোর্ডের আরেকটি বৈঠক আছে৷ সেখানেই সব কিছু ফয়সালা হবে৷ মালিকরা যদি তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট না করেন এবং ন্যূনতম মজুরি মেনে না নেন তাহলে শ্রমিকরা আরো বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারেন৷

এদিকে মজুরি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ইকতেদার আহমেদ মনে করেন, সর্বনিম্ন মজুরি ৫,৩০০ টাকা যথেষ্ট নয়৷ মজুরি ৬,০০০ টাকার বেশি হওয়া উচিত বলে ডয়চে ভেলেকে জানান তিনি৷ তবে তিনি বলেন বর্তমান মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যানের উচিত ছিল ঐক্যমতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া৷ তাহলে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা সহজ হত৷

এদিকে পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ'র সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, যে দামে তাঁরা পোশাক রপ্তানি করেন তাতে তাঁদের পক্ষে এত বেশি মজুরি দেয়া সম্ভব নয়৷ আর আন্দোলনের নামে ভাঙচুর করে, উৎপাদন বন্ধ করে তাঁদের সক্ষমতা আরো কমিয়ে দেয়া হচ্ছে৷

বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ৷ আর রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮০ ভাগ আসে এই খাত থেকে৷ কিন্তু গত কয়েকমাস ধরে এই খাত চাপের মুখে রয়েছে৷ ন্যূনতম মজুরি নিয়ে পোশাক খাতে বড় কোনো অঘটনের আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য