মহাকাশের ময়লা পরিষ্কার!
১৫ মার্চ ২০১৪চিন্তার কারণ – ময়লার মধ্যে স্ক্রু, বল্টু থেকে শুরু করে রয়েছে রকেটের ভেঙে যাওয়া বড় বড় টুকরা৷ বিজ্ঞানীদের হিসেবে সংখ্যাটা হবে প্রায় তিন লক্ষ৷ আর কক্ষপথে সেগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছে দ্রুতগতিতে৷ ফলে মহাকাশে থেকে স্যাটেলাইটগুলোর সঙ্গে ঐ জঞ্জালগুলোর যে-কোনো সময় সংঘর্ষ বাধার আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা৷ আর সে কারণেই যত দ্রুত সম্ভব আবর্জনা পরিষ্কারের দাবি উঠেছে৷
জার্মান বিজ্ঞানীরা মহাকাশের ময়লা সরাতে লেজার রশ্মিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন৷ একই বিষয়ে গবেষণা করছেন অস্ট্রেলিয়ার একদল বিজ্ঞানীও৷
অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ‘রিসার্চ স্কুল অফ অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স'-এর পরিচালক ম্যাথু কোলেস মনে করছেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে লেজার রশ্মি দিয়ে মহাকাশের আবর্জনা পরিষ্কার সম্ভব হতে পারে৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা সম্ভব হওয়া গুরুত্বপূর্ণ, কেননা তা না হলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যেই ময়লার সঙ্গে স্যাটেলাইটের সংঘর্ষ লাগার ঘটনা ঘটা শুরু হবে৷''
ইতিমধ্যে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার সঙ্গে চুক্তি করেছে অস্ট্রেলিয়া৷ এর আওতায় ‘মাউন্ট স্ট্রমলো অবজারভেটরি'-তে ইনফ্রা-রেড লেজার সম্বলিত টেলিস্কোপ দিয়ে আবর্জনার অবস্থান নির্ধারণের কাজ চলছে৷
এছাড়া বিজ্ঞানী দল অস্ট্রেলিয়া সরকার থেকে ২০ মিলিয়ন ডলার এবং ব্যক্তিগত বিনিয়োগ থেকে আরও ৪০ মিলিয়ন ডলার পাচ্ছে৷ এই অর্থ দিয়ে লেজারের ক্ষমতা বাড়ানোর গবেষণা করা হবে যেন সেই লেজার দিয়ে মহাকাশের আবর্জনা শনাক্ত করে সেগুলো পুড়িয়ে ফেলা যায়৷
কিন্তু জঞ্জাল সরাতে গিয়ে এই লেজার কি স্যাটেলাইটকে আক্রমণ করে ফেলতে পারে না? এমন আশঙ্কার উত্তরে কোলেস বলেন, ‘‘চালু স্যাটেলাইটে আঘাত করার কোনো ঝুঁকি নেই৷ আমরা ময়লাকে নিখুঁতভাবে চিহ্নিত করতে পারি৷''
জেডএইচ/ডিজি (রয়টার্স)