1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পিঁয়াজের দামে চোখে জল!‌ ‌

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা
২২ নভেম্বর ২০১৯

পিঁয়াজ কাটলে চোখ জ্বালা করে৷ কিন্তু এখন পিঁয়াজ কিনতে গেলেও চোখে জল আসছে৷ গত এক মাসে প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে পিঁয়াজের দাম৷

https://p.dw.com/p/3TWL2
ছবি: DW/S. Bandopadhyay

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলকাতা সফরে এসেছেন৷ যদিও শুভেচ্ছা সফর, তিস্তার জল থেকে পিঁয়াজের রপ্তানি, জরুরি কোনো ইস্যুতেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে তাঁর মত বিনিময়ের সম্ভাবনা কম এই যাত্রায়৷ কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ কি পারত না, সৌজন্যবশত বাংলাদেশে এখন কিছুটা পিঁয়াজ পাঠাতে?‌ যেখানে পিঁয়াজের দাম এখানকার প্রায় তিন গুণ?‌ প্রশ্নটা শুনে আঁতকে উঠলেন পশ্চিমবঙ্গের খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক৷ বললেন, ‘‘‌আমাদেরই অবস্থা খারাপ!‌‌’’ না, আড়তদারের কাছে মজুত পিঁয়াজও ভাগ করে খাওয়া যাবে না৷ তার একটা বড় কারণ, পশ্চিমবঙ্গে পিঁয়াজের ফলন হয় না৷ প্রায় পুরোটাই চালান আসে মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে৷ সেই চালানি পিঁয়াজের দাম ক্রমাগত চড়েই যাচ্ছে পাইকারি বাজারে৷ গত প্রায় এক মাস ধরে সত্তর-পঁচাত্তর টাকার নীচে নামছে না৷ ফলে খুচরো বাজারের পিঁয়াজ বিক্রেতারা লাভের আশা না করেই কেনা দামে পিঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন৷ যদিও পিঁয়াজের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখার জন্যে আলাদা টাস্ক ফোর্স গড়েছে রাজ্য সরকার৷ এবং সরকারের দাবি, ৪০ টাকা কেজি দরে পিঁয়াজ দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে৷

আমাদেরই অবস্থা খারাপ: খাদ্যমন্ত্রী

কথাটা শুনে হাসলেন বালিগঞ্জ বাজারের আলু-পিঁয়াজ বিক্রেতা নীতুরাম মন্ডল, বললেন, ‘‘‌ওসব ওপর মহলের ব্যাপার৷ আমরা কী বলি বলুন তো!‌''‌ পিঁয়াজের দাম কেন বেড়েই চলেছে, সেটাও নীতুরামের কাছে ‘‘‌ওপর মহলের ব্যাপার৷''‌ তাঁর মতো সাধারণ খুচরো ব্যবসায়ী সেই রহস্য বোঝেন না৷ তবে প্রতিদিন পাইকারি বাজারে পিঁয়াজের দর করতে গিয়ে নাকাল হতে হচ্ছে৷ শুক্রবার সকালে দোকানে বসে জানালেন, আগের দিনই ৭০ টাকা কেজি দরে পিঁয়াজ কিনেছেন, ৭৫ টাকায় বিক্রি করেছেন৷ পরদিনই গিয়ে শুনছেন ৭৫ টাকা পাইকারি দর৷ ৩০০০ টাকা মণ৷ ফলে ৮০ টাকার নীচে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না৷

‌ওসব ওপর মহলের ব্যাপার: পিঁয়াজ বিক্রেতা

রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, আরো মাসখানেক এরকমই চলবে৷ কিন্তু মজা হলো, পিঁয়াজের এই চড়া দাম নিয়ে সাধারণ মানুষের খুব একটা হেলদোল আছে বলে মনে হচ্ছে না৷ বরং নানা ধরনের রসিকতা, মিম এবং টিকটক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ছে সোশাল মিডিয়ায়৷ এরকমই এক রসিকতা হলো— এক ক্রেতা বাজারে গিয়ে মাংসের দোকানিকে বলছেন, এক কেজি মাংস দিন তো, একটু পিঁয়াজ রাঁধব!‌

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য