পাহাড় ধস
৩০ জুন ২০১২আর সেইসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে গিয়েই নিম্নবিত্ত মানুষ পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করেন৷ প্রতি বছর শিকার হন পাহাড় ধসের৷ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যুরোর মহাপরিচালক আহসান জাকির ডয়চে ভলেকে জানান আইন করেও এসব বন্ধ করা যায় না৷
চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে শতাধিক মানুষ মারা যাওয়ার পরও এখনো অনেকেই পাহাড়ের পাদদেশেই বসবাস করেন৷ তাদের একটিই কথা তাদের যাওয়ার কোন জায়গা নেই ৷ সব হারিয়ে তারা পাহাড়ের পাদদেশেই আশ্রয় নিয়েছেন৷
আবার কেউ কেউ কাজ করতে গিয়েই ঝুঁকিপূর্ণ আবাস বেছে নিয়েছেন৷ বিশেষ করে পাহাড় কেটে ইট ভাটা তৈরি করায় অনেক মানুষের কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে৷ তারা ইট ভাটায় কাজ করেন৷ আর পাহাড়ের পাদদেশে ঘর বানিয়ে থাকেন৷
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যুরোর মহাপরিচালক আহসান জাকির ডয়চে ভলেকে জানান, এই পরিস্থিতির জন্য নিম্নবিত্ত মানুষ দায়ী নয়৷ দায়ী যারা পাহাড় কাটেন সেই প্রভাবশালীরা৷ আর যারা এখানে বসবাস করেন তারা বাধ্য হয়েই বসবাস করেন৷ অনেক চেষ্টা করেও তাদের সরানো যায় না৷
তিনি জানান, আইন করেও কাজ হয় না৷ দেশে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে আইন আছে কিন্তু তারপরও থামানো যাচ্ছে না৷ পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসে নিষেধাজ্ঞা আছে তারপরও মানুষ পাহাড়ের পাদদেশে থাকছেন৷ তাই আইনের পাশাপাশি প্রয়োজন সচেতনতা৷
তিনি জানান, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে৷ আর আইন প্রয়োগ করা হবে আরো কড়াকড়িভাবে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই