নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব
২৭ জুন ২০১২গত রাত থেকে চট্টগ্রামে পাহাড় আর ভূমিধসের শুরু৷ পাহাড়তলী এলাকায় ভূমিধ্বসে নিহত হন একই পরিবারের পাঁচ জন৷ চট্টগ্রাম শহরের আরো একটি এলাকা ছাড়াও পাহাড় ও ভূমিধস হয় কক্সবাজার ও বান্দরবনে৷
উদ্ধারকারীদের ভারী বর্ষণ এবং দুর্গম এলাকার কারণে উদ্ধার কাজ চালতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে৷ জানালেন চ্ট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম৷
ঢাকায় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব এম আসলাম আলম জানান, বিকেল পর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে ২১, কক্সবাজার থেকে ৩৬ এবং বান্দরবন থেকে ৩৩টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ উদ্ধার কাজে সেনাবাহিনী যোগ দিয়েছে৷ দুর্গতদের ৭৫০ মেট্রিক টন চাল, ৬৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে৷ তিনি নিহতের সংখ্যা আরো বাড়ার আশংকা করছেন৷
অন্যদিক চট্টগ্রামের মেয়র এম মনজুর আলম জানান, যারা পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছেন তাদের গত কয়েকদিন ধরে সরে যাওয়ার জন্য বার বার বলা হয়েছে৷ কিন্তু তারা বাড়ি ঘর ছেড়ে চলে না যওয়ায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটলো৷ আর চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহমেদ এখনও যারা পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করেছেন, তাদের নিরাপদে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন৷
বৃহত্তর চট্টগ্রামে নিম্নবিত্ত মানুষ পাহাড়ের পাদদেশে কাঁচা ঘর বানিয়ে বছরের পর বছর ঝুঁকি নিয়ে বসববাস করছেন৷ এর আগে ২০০৭ সালে পাহাড় ধসে ১২৮ জন নিহত হন৷ তারপরও মানুষ বসবাস করছে পাহাড়ের পাদদেশে৷ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেই কোনো কার্যকর উদ্যোগ৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম