1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পালিয়ে আসা উইগুরেরা তুরস্কেও ভালো নেই

২ মার্চ ২০২১

চীনাদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে কয়েক হাজার উইগুর পালিয়ে এসেছেন তুরস্কে৷ সেখানেও ভালো নেই তারা৷ ডয়চে ভেলের কাছে তাদের অনেকে তুলে ধরেছেন জীবনের অমানবিক দুঃখ কষ্টের কথা৷

https://p.dw.com/p/3q5Gs
তুরস্কে আশ্রয় নেয়া এক উইঘুর পরিবার
তুরস্কে আশ্রয় নেয়া এক উইঘুর পরিবারছবি: Tunca Ögreten/DW

সম্প্রতি চীন থেকে তুরস্কে পালিয়ে আসা প্রায় ৫০ হাজার উইগুরদের একজন আবদুস স্যুক্যুর৷ ইস্তাম্বুলের জেটিনবার্নু এলাকায় তার বাস, যেখানে চীন থেকে পালিয়ে যাওয়া বেশিরভাগ উইঘুর অভিবাসীরা থাকেন৷ একটি সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল ফোনের দোকানে কাজ করে আবদুস স্যুক্যুর কোনোরকম দিনাতিপাত করছেন৷ ৩২ বছর বয়সী আবদুস স্যুক্যুর ছলছল চোখে ডয়চে ভেলেকে জানান, আমার পরিবারের সাথে পাঁচ বছর আগেই যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে৷ এক বছর পর আমি নিজের বাবার মৃত্যু সংবাদ পেয়েছি৷

চীন সরকার উইঘুর ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার নিপীড়ন করেছে৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকে জানিয়েছে ক্যাম্পে আটকে রেখে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে, বিনা নোটিসে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হচ্ছে  শিশুসহ অন্যদের৷ উইঘুরেরা তুর্কিভাষী সংখ্যালঘু গোষ্ঠী, যার বেশিরভাগই মুসলমান৷ সংস্কৃতির দিক থেকে তুর্কিদের সাথে অনেকটা মিল থাকার কারণেই চীন থেকে তুরস্কে পালিয়ে গেছেন তারা৷

আবদুস স্যুক্যুর ডয়চে ভেলেকে বলেন, তুরস্কে আসার পর তার মায়ের সাথে মাত্র একবার কথা বলার সুযোগ হয়েছে৷ কত মানুষ যে শিবিরে আটক তার কোনও দাপ্তরিক হিসেব নেই৷ তিনি নিয়মিত চীনের উইঘুরদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিলগুলিতে যোগ দেন এবং সচেতনতা বাড়াতে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন৷ সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্য তাকে তুরস্ক কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তারও করেছে৷

তুরস্কে পালিয়ে যাওয়া আরেক অভিবাসী ওমর ফারুক৷ ৩১ বছর বয়সি ফারুকের তুর্কি নাগরিকত্ব থাকা সত্ত্বেও কঠিন সংগ্রাম করতে হচ্ছে৷ তুরস্কে আসার সময় স্ত্রী ও পাঁচ সন্তানের দুইজনকে চীনে রেখে আসতে হয়েছে৷ পরে স্ত্রী তুরস্কে এলেও কন্যারা এখনো চীনেই রয়ে গেছে৷ কন্যাদের তুরস্কে আসতে সাহায্যে করায় ফারুকের স্ত্রীর ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ শাশুড়িকে আটকে রাখা হয়েছে ক্যাম্পে৷ ফারুক বলেন, ‘‘আমার মেয়েরা এখন কোথায় আছে, কেমন আছে বা বেচে আছে কিনা কিছুই জানি না৷ জীবনে আর কখনো দেখা হবে কিনা সেটাও অনিশ্চিত৷’’

টুনকা ও্যরগ্রেটেন/এনএস

২০১৯ সালের নভেম্বরের ছবিঘরটি দেখুন...