1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মেয়েদের সাপ থেকে বাঁচাচ্ছে যা...

২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬

পার্বত্য চট্টগ্রামে বিশুদ্ধ পানির অন্যতম উৎস হচ্ছে ঝরনা বা জঙ্গলের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা ছোট ছোট পানির প্রবাহ৷ এ সব স্থান থেকে পানি তুলতে অনেক সময় মাইলের পর মাইল হাঁটতে হয় আদিবাসীদের৷

https://p.dw.com/p/1K6hA
বাংলাদেশে স্বাস্থ্যবিধি
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images

চংলা ম্রো এবং তাঁর সম্প্রদায়ের আরো অনেক নারীকে একসময় জঙ্গলের মধ্যকার সরু পথ ধরে মাইলের পর মাইল হাঁটতে হতো পানি সংগ্রহের আশায়৷ সেকাজ মোটেই সহজ ছিল না৷ সেপথে শুধু গাছ আর বাঁশ নয়, থাকত বিষাক্ত সাপ, বুনো শুকরসহ বিভিন্ন হিংস্র প্রাণী৷ ফলে যে কোনো সময় আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা নিয়ে পাড়ি দিতে হতো লম্বা পথ৷

কিন্তু একবছর আগে একটি পানি সংগ্রহ এবং ব্যবস্থাপনা ‘সিস্টেম' তাদের এলাকায় বসানোর পর পরিস্থিতি বদলে গেছে৷ বান্দরবনের দুর্গম সেই এলাকায় ২১টি পরিবারের বাস যারা এখন আর বিপৎসংকুল পথ পাড়ি দিয়ে পানি সংগ্রহের জন্য যায় না৷ ‘থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন'-কে অতীতের কথা মনে করে চংলা ম্রো বলেন, ‘‘শেষবার রাতের বেলা পানি সংগ্রহ করতে গিয়ে দুই মেয়ে বিষাক্ত সাপের কামড় খেয়েছিল৷ এখন আর আমাদের সাপের কামড় খাওয়ার বা হিংস্র প্রাণীর হামলার শিকার হওয়ার ভয় নেই, কেননা পানির প্ল্যান্ট থেকেই প্রয়োজনীয় পানি পাওয়া যায়৷''

বন উজাড় করাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিশ্বে বিশুদ্ধ পানির সীমিত আধারের উপর চাপ বাড়ছে৷ ফলে পানি সংগ্রহের নতুন নতুন উপায় বের করতে হচ্ছে৷ আর এ সব উদ্ভাবন এখন বিশেষ গুরুত্বও পাচ্ছে৷

পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন অংশের বন কেটে উজাড় করে ফেলায় সেখানকার মাটির পানি ধরে রাখার ক্ষমতা ক্রমশ কমে যাচ্ছে৷ ফলে সেখানে বসবাসরত বিভিন্ন গোষ্ঠীর পানি সংকট বাড়ছে৷ এই সমস্যা সমাধানে ‘অরণ্যক ফাউন্ডেশন' বাংলাদেশ ও মার্কিন সরকারের সহায়তায় সেখানে পানি সংগ্রহের বিশেষ পদ্ধতি স্থাপন করছে৷ এই ব্যবস্থায় পাহাড়ের কাছে মানুষের তৈরি পানির আধার তৈরি করা হয় যেখানে পাহাড় থেকে নেমে আসা পানি জমা হয়৷ এরপর তা পাইপের মাধ্যমে পানি পরিষ্কার করার ট্যাংকে নিয়ে যাওয়া হয়৷ আর সেখান থেকে পানি নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ তা পান করতে পারেন৷

এই ব্যবস্থায় মাটির তলা থেকে পানি তুলতে হয় না কিংবা পানি পেতে দামি কোনো পাম্পও দরকার হয় না৷ তবে প্রয়োজন হয় গাছপালায় পূর্ণ বন৷ ম্রোরা তাদের গ্রামের আশেপাশে তাই বেশি করে গাছ লাগাচ্ছে৷ বিশেষ করে সেসব জায়গায় যেখান থেকে আগে গাছে কেটে উজাড় করা হয়েছিল৷ এভাবে পানির সংকটও মিটছে, বনায়নও সম্ভব হচ্ছে৷

এআই/ডিজি (থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান