1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাখির ঝাঁকের অপরূপ ছবি তোলেন তিনি

৩ জুন ২০২১

আকাশে পাখির বিশাল ঝাঁক কত রকম নক্সাই না তৈরি করে! সঙ্গে শোনা যায় পাখির কিচিরমিচির শব্দ৷ ডেনমার্কের এক ফটোগ্রাফার শিশু বয়সের সেই বিস্ময়কে পেশায় পরিণত করেছেন৷

https://p.dw.com/p/3uNWL
Windkraft und Vögel
ছবি: picture-alliance/M. Woike

আকাশে পাখির বিশাল ঝাঁক কত রকম নক্সাই না তৈরি করে! সঙ্গে শোনা যায় পাখির কিচিরমিচির শব্দ৷ ডেনমার্কের ফটোগ্রাফার শিশু বয়সের সেই বিস্ময়কে পেশায় পরিণত করেছেন৷ তিনি পাখির বিশাল ঝাঁকের ছবি তোলেন৷ ‘ব্ল্যাক সান' বা কালো সূর্য নামের প্রকল্পের জন্য স্যোরেন নেদারল্যান্ডসের উত্তরে ফ্রিসলান্ড অঞ্চলে এসেছেন৷ নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘দুই-এক সপ্তাহ অপেক্ষা করলেও কিছুই হয় না৷ অথচ মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সবকিছু বদলে যায়৷ আকাশেও যেন বিস্ফোরণ ঘটে৷ আমার জীবনের অন্যতম অসাধারণ অভিজ্ঞতা৷''

স্যোরেনের মতে, সাধারণত কোনো শিকারি পাখির হামলা ঘটলে ঝাঁকের মধ্যে জাদু সৃষ্টি হয়৷ তিনি বলেন, ‘‘নিজেদের সুরক্ষার জন্য পাখিগুলি খুব অরগ্যানিক আকার সৃষ্টি করে৷ যেমন পাখির ঝাঁক কালো ঢেউয়ের মতো এগিয়ে যায়৷ বাস্তবে এত দ্রুত সেটা ঘটে যে কখনো নিজের চোখে দেখেও তা বোঝা যায় না৷''

পাখির ঝাঁকের ছবি তোলেন যে ফটোগ্রাফার

স্যোরেন সোলকা এখনো পর্যন্ত ছ'টি দেশে কাজ করেছেন৷ পাখিদের সন্ধান পেতে তিনি অনেক গবেষণা করি৷ তারপর সেখানে গিয়ে সেরা সুযোগের আশায় অপেক্ষা করেন৷ গত চার বছরে তিনি সম্ভবত ১২০ দিন বাইরে কাটিয়েছেন৷ এত পরিশ্রম করেও হয়তো পাঁচ থেকে দশটি ভালো রাত পেয়েছেন৷ নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘শিশু বয়সেই পাখির ঝাঁকের বিস্ময়কর নক্সা দেখেছি৷ দশ বছর বয়সে বাবা-মার সঙ্গে ডেনমার্কের পশ্চিম উপকূলে গিয়েছিলাম৷ সেই ছবি কখনো মন থেকে মুছে যায় নি৷ তারপর ২৫ বছর ধরে পোর্ট্রেট আঁকার পর হঠাৎ আবার পাখির ঝাঁকের কাছে ফিরে গিয়ে ছবি তোলার ইচ্ছা হলো৷''

ডেনমার্কের হেয়ারনেং শহরে সমসামিয়ক শিল্পকলার মিউজিয়াম ‘হার্ট' এক বড় প্রদর্শনীতে তার তোলা ছবি দেখাচ্ছে৷ সেই প্রকল্পের জন্য তিনি ফটোশপের মাধ্যমে একটি পাখিও এদিক-ওদিক করেন নি বলে দাবি করেন৷ তিনি শুধু নির্মল প্রকৃতির পরাবাস্তব রূপ তুলে ধরেছেন কারণ প্রকৃতিতে এমন জাদুময় মুহূর্ত নিজে থেকেই ঘটে৷

মিউজিয়ামের প্রধান হলগার রেনব্যার্গ আসলে স্যোরেন সোলকার তোলা ডেনমার্কের পপ তারকাদের ছবি দেখাতে চেয়েছিলেন৷ তারপর ‘ব্ল্যাক সান' সিরিজ দেখে তিনি এতই মুগ্ধ হয়েছিলেন, যে তিনি পরিকল্পনা বদলে ফেলেন৷ হলগার বলেন, ‘‘জানি কী হচ্ছে, এর ব্যাখ্যাও আমাদের কাছে রয়েছে৷ অথচ এত সুন্দর দৃশ্য হৃদয়ঙ্গম করা কঠিন৷''

প্রথমে স্যোরেন পাখির ঝাঁকের সঙ্গে এক সপ্তাহ কাটাতে চেয়েছিলেন৷ অথচ দেখতে দেখতে চার বছর কেটে গেছে৷ তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যেকটি ছবিই একেবারে আলাদা৷ চার বছরে কখনো একই মোটিফ দুই বার পাই নি৷ তাই কাজ চালিয়ে যাবার অনেক উৎসাহ পাই৷ এই প্রকল্প এখনো শেষ হতে অনেক দেরি৷ মনে হয়, আরও কয়েক বছর ধরে কাজ চালিয়ে যাবো৷''

ইয়েন্স ফান লার্খার

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য