1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানে সম্পাদক আটকের পেছনে ইমরান খান?

২৪ এপ্রিল ২০২০

পাকিস্তানের জং মিডিয়া গ্রুপের প্রধান সম্পাদক মীর শাকিল-উর-রেহমানকে গতমাসে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷

https://p.dw.com/p/3bM9W
ছবি: DW/T. Shahzad

রেহমানের বিরুদ্ধে ১৯৮৬ সালে অবৈধভাবে লিজ নেয়া সরকারি জমি ২০১৬ সালে নিজের নামে করে নেয়া এবং কর ফাঁকির অভিযোগ এনেছে দেশটির জাতীয় জবাবদিহিতা ব্যুরো৷ 

১৯৮০-র দশকে পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ৷ ২০১৬ সালে তিনি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷

২০১৮ সালের নির্বাচনে শরিফকে পরাজিত করে প্রধানমন্ত্রী হন সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান৷ তাঁর দল তেহরিক-ই-ইনসাফের অভিযোগ, জং গ্রুপ ও তার নিয়ন্ত্রণাধীন জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল জিও টিভি শরিফের সমর্থক৷

এছাড়া দেশটির সামরিক বাহিনীর সঙ্গেও জং ও ডন মিডিয়া গ্রুপের দ্বন্দ্ব রয়েছে৷ অনেক বিশ্লেষকের ধারণা, সামরিক বাহিনী ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রী হতে সহায়তা করেছে৷ 

ইমরান খানও অতীতে রেহমান ও জং গ্রুপের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী কাজের অভিযোগ এনেছেন৷

গত কয়েক বছরে কয়েকবার জিও টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷

মানবাধিকার কর্মী ও কলাম লেখক আদনান রেহমাত ডয়চে ভেলেকে বলেন, সরকারের সমালোচনা করা কিংবা বিরোধী, বিশেষ করে নওয়াজ শরিফের দলের নেতাদের খবর প্রকাশ করা গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ইমরান খানের কঠোর মনোভাবের একটি অংশ হচ্ছে রেহমানের গ্রেপ্তার৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও সিকিউরিটি পলিসি বিষয়ক মুখপাত্র ভির্জিনে বাত্তু-হেমরিকসেন রেহমানের বিচার প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, পাকিস্তানকে যে ইইউ-র জিএসপি প্লাস বাণিজ্য সুবিধা দেয়া হয় তার পেছনে থাকা শর্তগুলোর মধ্যে মানবাধিকার, গণতন্ত্র ইত্যাদি রয়েছে৷

নিউইয়র্কভিত্তিক কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস এবং প্যারিসভিত্তিক রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স, আরএসএফ রেহমানের গ্রেপ্তারের সমালোচনা করেছে৷ এক বিবৃতিতে রেহমানের গ্রেপ্তারের আইনগত কোনো ভিত্তি নেই বলে মন্তব্য করেছেন আরএসএফ-এর এশিয়া-প্যাসিফিক ডাইরেক্টর ডেনিয়েল ব্যাস্টার্ড ৷ অযৌক্তিক ও মিথ্যা কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি৷

পাকিস্তান সরকার অবশ্য এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে৷ তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ে ইমরান খানের বিশেষ সহকারী ফিরদৌস আশিক আওয়ান বলছেন, আর্থিক দুর্নীতির দায়ে গ্রেপ্তারকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সঙ্গে মেলানো অযৌক্তিক৷

আরএসএফ-এর তৈরি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে পাকিস্তানের অবস্থান ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৪৫৷ গতবারের চেয়ে তিন ধাপ নীচে নেমেছে দেশটি৷

হারুন জানজুয়া, ইসলামাবাদ/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান