আইএসএস যাত্রা
১৫ মে ২০১২অ্যামেরিকার শাটল কর্মসূচি শেষ হয়ে যাওয়ার পর এখন সোয়ুজই একমাত্র যান যেটাতে করে পৃথিবী থেকে সাড়ে তিনশো কিলোমিটার উপরের আইএসএস'এ যাওয়া যায়৷
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল নয়টায় কাজাখস্তানের বাইকোনুর লঞ্চপ্যাড থেকে মহাকাশের দিকে উড়ে যায় সোয়ুজ রকেট৷ বাইকোনুর হচ্ছে সেই ঐতিহাসিক স্থান যেখান থেকে ১৯৬১ সালে প্রথমবারের মতো কোনো মনুষ্যযান মহাকাশে যাওয়ার লক্ষ্যে উড়াল দিয়েছিল৷ রুশ নভোচারী ইউরি গ্যাগারিন ছিলেন সেই যানের যাত্রী৷
প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী মার্চ মাসের ৩০ তারিখে সোয়ুজের আইএসএস'এ যাওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সেটা পিছিয়ে যায়৷
এবারকার সোয়ুজে রয়েছেন তিনবার আইএসএস'এ যাওয়ার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ৫৩ বছর বয়সি রুশ নভোচারী গ্যানাডি পাডালকা৷ আছেন, প্রথমবারের মত যাত্রা করা আরেক রুশ নভোচারী ৪৬ বছর বয়সি সের্গেই রেভিন৷ এই দুজনের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন এর আগে শাটলে করে একবার মহাকাশে যাওয়ার অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ ৪৪ বছরের মার্কিন নভোচারী জোসেফ আকাবা৷
এই তিন নভোচারী মোট ১২৬ দিন মহাকাশে থাকবেন৷ এর মধ্যে আইএসএস'এর রাশিয়ান অংশে প্রায় ৪০টির মতো গবেষণা করবেন তাঁরা৷ এছাড়া একটি ঐতিহাসিক কাজেও অংশ নেবেন তাঁরা৷ সেটা হচ্ছে, প্রথমবারের মতো বেসরকারি খাতের কোনো মহাকাশযান থেকে আইএসএস'এর জন্য নিয়ে যাওয়া বিভিন্ন উপাদান গ্রহণ করবেন এই নভোচারীরা৷ এদের সঙ্গে যোগ দেবেন আগে থেকেই আইএসএস'এ থাকা অন্য তিন নভোচারী৷ এঁরা হলেন, রুশ ওলেগ কোনোনেঙ্কো, মার্কিন ডন পেটিট আর ডাচ নভোচারী আন্দ্রে কুইপের্স৷ গত প্রায় পাঁচ মাস ধরে তাঁরা আইএসএস'এ রয়েছেন৷ জুলাইয়ের প্রথম দিন তাঁদের পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা রয়েছে৷
মার্কিন কোম্পানি ‘স্পেস এক্স'-এর তৈরি ‘ড্রাগন' নামের একটি মহাকাশযান আইএসএস'এর জন্য বিভিন্ন উপকরণ ও যন্ত্রপাতি নিয়ে শনিবার অ্যামেরিকার কেপ কেনেডি থেকে উড়াল দেবে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক (এএফপি, ডিপিএ)
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ