1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খনিজের খোঁজ

৬ মে ২০১২

পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রায় নয় হাজার গ্রহাণু বা অ্যাস্টেরয়েড৷ এর মধ্যে প্রায় পনেরশ’টিতে চাইলে যেতে পারবে মানুষ৷ মূল্যবান সব খনিজ উপাদানে ভরা এসব গ্রহাণু৷ সেগুলোর খোঁজেই এবার কাজ শুরু করেছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা৷

https://p.dw.com/p/14qjy
HOLD FOR RELEASE UNTIL 3:00 A.M. EDT ON TUESDAY APRIL 24 2012. THIS PHOTO MAY NOT BE PUBLISHED, BROADCAST OR POSTED ONLINE BEFORE APRIL 24 2012 AT 3:00 A.M. EDT - This computer-generated image provided by Planetary Resources, a group of high-tech tycoons that wants to mine nearby asteroids, shows a conceptual rendering of a spacecraft preparing to capture a water-rich, near-Earth asteroid. The group's mega-million dollar plan is to use commercially built robotic ships to squeeze rocket fuel and valuable minerals like platinum and gold out of the lifeless rocks that routinely whiz by Earth. One of the company founders predicts they could have their version of a space-based gas station up and running by 2020. (AP Photo/Planetary Resources)
Firma Planetary Resources will Schätze im Weltraum hebenছবি: dapd

ত্রিশ মিটার দৈর্ঘ্যের ছোট্ট একটি গ্রহাণুতে যে পরিমাণ প্ল্যাটিনাম থাকতে পারে তার মূল্য অর্থের হিসেবে প্রায় ২৫ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার৷ অর্থাৎ প্রায় দুই লক্ষ চার হাজার থেকে চার লক্ষ আট হাজার কোটি টাকা৷

এই একটি মাত্র পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যাচ্ছে গ্রহাণুগুলো ঠিক কতটা মূল্যবান হতে পারে৷ আর মানুষের কাজ যেখানে সম্পদ খুঁজে বেড়ানো, সেখানে পৃথিবীর বাইরের এই খনিগুলোতে যে এখনো বিজ্ঞানীদের পা পড়েনি সেটাই আশ্চর্যের৷ তবে এর কারণটা বোধ করি সবার জানা৷ প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির অভাব৷

তবে এবার সেই অভাব দূর করতে কাজ শুরু করেছে মার্কিন কোম্পানি ‘প্ল্যানেটরি রিসোর্সেস'৷ প্রায় তিন বছর ধরে কাজ করছে তারা৷ সম্প্রতি তারা জানিয়েছে, আগামী দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে তারা মহাকাশে একটি টেলিস্কোপ পাঠাবে যেটা খনিজ সম্পদে ভরপুর গ্রহাণু খুঁজে বের করবে৷ এছাড়া তাদের আরেকটি পরিকল্পনা হচ্ছে, মহাকাশে খনিজ আহরণে কাজ করার জন্য কম খরচের রোবটচালিত যান তৈরি করা৷ কেননা সেটা না হলে বর্তমানে একটি মহাকাশযান পরিচালনা করতে যে খরচ তা দিয়ে খনিজ সংগ্রহ অভিযান লাভজনক করা যাবে না৷

Die undatierte Illustration zeigt den katastrophalen Asteroideneinschlag auf der Erde, der vor 65 Millionen Jahren die Dinosaurier ausgerottet haben soll. Der Killerasteroid wurde wahrscheinlich bei einer kosmischen Kollision in Richtung Erde gelenkt. US-Astronomen haben jetzt die Trümmer des Crashs im Asteroidengürtel aufgespürt, wie sie im britischen Fachjournal «Nature» berichten. Das Schicksal der Dinosaurier wäre demnach schon knapp 100 Millionen Jahre vor ihrem Aussterben besiegelt worden. Damals prallte ein 60 Kilometer großer Brocken in der Region zwischen Mars und Jupiter mit fast 11 000 Kilometern pro Stunde auf einen anderen, 170 Kilometer großen Asteroiden. Illustration: Don Davis (zu dpa-Meldung "Astronomen spüren Ursprung des Dinosaurier-Killerasteroiden auf" vom 05.09.2007) ACHTUNG - Verwendung nur für redaktionelle Zwecke - SPERRFRIST 5. September, 19.00 Uhr +++(c) dpa - Report+++
গ্রহাণুর একটি পৃথিবীতে আঘাত করলে কী হতে পারে তার একটি কাল্পনিক চিত্রছবি: picture alliance/dpa

মার্কিন ধনাঢ্য সব ব্যক্তিরা এই কোম্পানিতে অর্থ বিনিয়োগ করছেন৷ এর মধ্যে রয়েছে গুগলের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা ল্যারি পেজ ও এরিক স্মিথ৷ এছাড়া আছেন ‘টাইটানিক' ছবির পরিচালক জেমস ক্যামেরন৷ আছেন মাইক্রোসফটের সাবেক প্রধান সফটওয়্যার আর্কিটেকচার চার্লস সিমোনি, গুগলের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক কবিতার্ক রাম শ্রীরাম৷

এসব গ্রহাণুতে প্লাটিনাম ছাড়াও রয়েছে লোহা, নিকেল, সালফার বা গন্ধক৷ রয়েছে আরও সব নাম না জানা খনিজ পদার্থ, যেগুলো দিয়ে সেমিকন্ডাক্টর তৈরি করা যাবে৷ এছাড়া গ্রহাণুতে থাকা পানি দিয়ে তরল অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন তৈরি করা যেতে পারে, যেটা রকেটের জ্বালানি হিসেবে কাজে লাগানো যেতে পারে৷ এটা সম্ভব হলে মহাকাশ গবেষণার কাজে যে যান বা কৃত্রিম উপগ্রহগুলো কাজ করছে সেগুলোর জ্বালানি সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করা হচ্ছে৷

তবে অনেক বিশেষজ্ঞ প্ল্যানেটরি রিসোর্সেস এর এই প্রকল্পের সফলতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন৷ কিন্তু প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিশ্চিত যে, আজ থেকে দশ বছর পর তারা সফলতার মুখ দেখতে পাবেন৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক (এএফপি, রয়টার্স)

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য