বিলি আইডল
২৯ নভেম্বর ২০১২১৯৮২ সালে প্রথম একক অ্যালবাম ‘বিলি আইডল' – এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক রক সংগীতের অঙ্গনে, গীতিকার, সুরকার, বাদক ও গায়ক বিলি আইডলের সফল অগ্রযাত্রা৷ এই অ্যালবাম ব্রিটেন ও অ্যামেরিকায় পায় বিপুল সমাদর ও প্রশংসা৷
তাঁর পরবর্তী অ্যালবাম ‘রেবেল ইয়েল' আরও প্রসারিত করে তাঁর খ্যাতি ও জনপ্রিয়তা৷ এই অ্যালবামের একাধিক হিট গানের মধ্য দিয়ে তিনি জয় করেন বিশ্বের অসংখ্য সংগীত অনুরাগীর হৃদয়৷ স্বীকৃতি ছাড়াও তিনি পান অসাধারণ বাণিজ্যিক সাফল্য৷
তাঁর আসল নাম উইলিয়াম মাইকেল অ্যালবার্ট ব্রোড৷ জন্ম ১৯৫৫ সালে, ইংল্যান্ডের স্টেনমোর শহরে৷ দর্শনশাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রির পাঠক্রম শেষ না করে সত্তরের মাঝামাঝি সময় থেকে লন্ডনের পাংক সংগীতের অঙ্গনে জড়িয়ে পড়েন তিনি এবং ১৯৭৭ সালে গঠন করেন রক ব্যান্ড ‘জেনারেশন এক্স'৷ এই গোষ্ঠীর কর্ণধার হিসেবে শুরু হয় তাঁর সংগীত জীবন৷ তিনটি সফল অ্যালবাম বেরোয় বাজারে৷ ‘জেনারেশন এক্স'ই অন্যতম প্রথম পাঙ্ক-রক সংগীত গোষ্ঠী যা ‘বিবিসি' টেলিভিশনের সংগীত অনুষ্ঠান ‘টপ অফ দ্য পপস'-এ অংশগ্রহণ করে৷ ১৯৮০ সালে ভেঙে যায় এই গোষ্ঠী৷ ১৯৮১ সালে তিনি চলে আসেন নিউ ইয়র্কে৷ এখান থেকেই শুরু হয় তাঁর সফল একক ক্যারিয়ার৷ তারপর থেকেই একের পর এক হিট অ্যালবাম বেরোয় বাজারে৷
পাংক-রক দিয়ে তাঁর সংগীত জীবন শুরু হলেও পরবর্তীকালে রকের সাথে তাঁর গানে মিশেছে ষাট দশকের ব্যালাড আঙ্গিকের পপ সংগীতের প্রভাব৷ টেলিভিশন, মিউজিক্যাল ও বেশ কিছু ছায়াছবির সঙ্গেও জড়িত রয়েছেন তিনি৷ আজও বিশ্বব্যাপী কনসার্ট পরিবেশনার মধ্য দিয়ে তিনি ধরে রেখেছেন তাঁর জনপ্রিয়তা৷ একাধিকবার গ্র্যামি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন তিনি৷ এম টি ভি ও ব্রিট ছাড়াও আরো বেশ কিছু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন বিলি আইডল৷