1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পশ্চিমা ব্র্যান্ডের দিকেও অভিযোগের আঙুল

২৬ নভেম্বর ২০১২

পোশাক কারখানা সংক্রান্ত দুর্বল নিরাপত্তা নিরীক্ষা এড়িয়ে যাওয়ায় পশ্চিমা ব্র্যান্ডগুলোর দিকেও উঠেছে অভিযোগের আঙুল৷ বাংলাদেশে পোশাক কারখানায় আগুন লেগে ১১০ শ্রমিক নিহত হওয়ার পর এই নিয়ে কথা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/16pwF
ছবি: Kamrul Hasan Khan/AFP/Getty Images

অন্যান্য দিনের মতো শনিবার রাতেও কাজে ব্যস্ত ছিল তাজরিন ফ্যাশন কারখানার শ্রমিকরা৷ ঢাকার কাছে অবস্থিত এই কারখানায় আগুন লাগে রাতের বেলা৷ প্রাণ হারায় ১১০ শ্রমিক, যাদের অধিকাংশই আগুন লাগার পর কারখানার মধ্যে আটকে গিয়েছিল এবং অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও বাইরে বেরুতে পারেনি৷

এর আগে পাকিস্তানের বন্দর নগরী করাচিতে এরকম এক অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারায় ২৮৯ ব্যক্তি৷ সেই ঘটনার দু'মাস পর আবারো আগুন কেড়ে নিল পোশাক শ্রমিকের প্রাণ, যা প্রকারান্তরে এসব কারখানার অত্যন্ত দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে৷

Großbrand in Bangladesch
বাংলাদেশের আশি শতাংশ পোশাক শ্রমিকই নারীছবি: Reuters

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক উপ-পরিচালক ফিল রবার্টসন এই বিষয়ে বলেন, ‘‘কম খরচে পোশাক কিনতে আগ্রহী বিদেশি ক্রেতাদেরকে প্রদর্শনের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সনদটি অনেক কারখানা মালিকই চাতুরির মাধ্যমে সংগ্রহ করে অথবা কিনে নেয়৷''

তাজরিন কারখানার মালিক হচ্ছে টুবা গ্রুপ৷ প্রতিষ্ঠানটি তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, সারা বিশ্বে পরিচিত ব্র্যান্ড ওয়ালমার্ট, কারফুর, ইকেয়া এবং সিএন্ডএ'র জন্য পোশাক তৈরি করে তারা৷ প্রায় সাত হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে টুবা৷

প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে, কারখানার নিরাপত্তা সম্পর্কিত ‘ডাব্লিউআইএপি' সনদ রয়েছে তাদের৷ মূলত নিরাপদ এবং নৈতিক কারখানাগুলোকে এই সনদ প্রদান করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ‘ডাব্লিউআইএপি'৷ তবে শিল্পখাত থেকে তহবিল সংগ্রহ করায় সংস্থাটিকে প্রায়ই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়৷

‘ডাব্লিউআইএপি' টুবার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে৷ তাজরিন কারখানাটিকে কোন নিরাপত্তা সনদ প্রদান করা হয়নি বলে জানিয়েছে তারা৷

দক্ষিণ এশিয়ায় রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত নিরাপত্তা ব্যবস্থাও অত্যন্ত দুর্বল৷ রবার্টসন এসব ব্যবস্থাকে আখ্যা দিলেন ‘বিশ্বমানের কৌতুক' হিসেবে৷ তাঁর মতে, যেসব পশ্চিমা প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিমালিকানাধীন কারখানা ব্যবহার করছে, তাদের সরাসরি শ্রমিকদের দায়িত্ব নিতে হবে৷

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের আশি শতাংশ পোশাক শ্রমিকই নারী৷ মাসে তাদের আয় তিন থেকে দশ হাজার টাকার মধ্যে৷ অবশ্য এই অর্থ আয় করতে বিশাল এবং জনাকীর্ণ কারখানায় প্রতি সপ্তাহে ছয় শিফটে কঠোর পরিশ্রম করতে হয় তাদের৷ অধিকাংশ পোশাক কারখানায় কাজের উপযোগী পরিবেশ নেই৷

এআই / এসবি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য