পশ্চিমবঙ্গের তরুণদের আগ্রহ
১৫ অক্টোবর ২০১২ডোনা গাঙ্গুলির ছাত্রী তিনি৷ সেই ছোটবেলা থেকে নাচ শিখছেন তাঁর কাছে৷ ডোনা যেমন ৩ বছর বয়সে নুপূরের সঙ্গে মিতালি করেছিলেন, সুলগ্না রায়ও সেরকম৷ ডোনা গাঙ্গুলির ‘দীক্ষা মঞ্জরি'তে দীক্ষা নিচ্ছেন শৈশব থেকে৷ স্কুলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নাচার বিরল সৌভাগ্য হয়েছিল তাঁর৷ বিরল বলতেই হচ্ছে, কারণ, সেই অনুষ্ঠানে দর্শকের কাতারে ছিলেন লতা মঙ্গেশকর, হরিহরণ, ঊষা উত্থুপের মতো ব্যক্তিত্বরা৷ এখন ভারতের এ রাজ্য ও রাজ্য তো বটেই, দীক্ষা মঞ্জরির গ্রুপের সঙ্গে দেশের বাইরের অনুষ্ঠানেও অংশ নেন সুলগ্না৷ লেখাপড়া চলছে, সঙ্গে এগোচ্ছে বড় নৃত্যশিল্পী হওয়ার স্বপ্নও৷ ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারেও সে কথা বলেছেন সুশ্রী সুলগ্না৷
চার বছর বয়সে লতাজীর সামনে নাচ পরিবেশনের পর থেকে দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেছে চৌদ্দটি বছর৷ ডোনা গাঙ্গুলির হাত ধরে ধরে নাচের মঞ্চে শৈশব পেরিয়েছেন৷ নতুন প্রজন্মের এই প্রতিনিধির কাছেও তাই পশ্চিমবঙ্গে নাচের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাওয়া৷ অনেক জায়গাতেই সুলগ্নার কথা তাঁর দীক্ষাগুরুর মতো৷ তাঁরও মনে হয়, পশ্চিমবঙ্গে নৃত্যশিল্পীরা আরো সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলেছেন৷ নাচকে পেশা হিসেবে নেয়ার সুযোগ আগের চেয়ে অনেক বেশি৷ তরুণরা সুযোগটা নিচ্ছেন৷ চর্চা বাড়ছে নাচের৷ বাড়ছে পসার৷ হালে যে রিয়্যালিটি শো-র মারকাটারি বাজার, তাতে শুধু দোষ দেখছেন না সুলগ্না৷ কেউ কেউ সহজে খ্যাতি পেয়ে পরে আর সেই তালে এগোতে না পেরে হতাশায় ডোবেন - এটা জানেন, তাই বলে, রিয়্যালিটি শো যে শিল্পীদের চলার পথ সহজ করে দিচ্ছে তা মানবেন না! মানেন৷ সহজে খ্যাতি কুড়ানোর পথকে খারাপ না বললেও সুলগ্না অবশ্য সাধনার দীর্ঘ, বন্ধুর পথেরই পথিক৷ সেই পথেই যে মেলে অপার্থিব আনন্দ৷ সে আনন্দ পাচছেনও সুলগ্না৷
সাক্ষাৎকার : আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা : রিয়াজুল ইসলাম