কলকাতায় নাচের হালহকিকত
১১ অক্টোবর ২০১২সৌরভ গাঙ্গুলির স্ত্রী হননি বলে তখনো তিনি ডোনা রায়৷ কলকাতার লরেটো কনভেন্ট স্কুলে পড়ার সময় থেকেই নূপুর ওঠে পায়ে৷ অমলা শঙ্করের কাছে শিখতে শুরু করার সময় বয়স বড় জোর তিন৷ ওই বয়সেই দারুণ নাচে সঞ্জীব রায় আর স্বপ্না রায়ের মেয়েটি৷ গুরু কেলুচরণ মহাপাত্রের কাছে শেখা শুরু আরো পরে৷ তবে সেই সময়টাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ, তখন থেকেই ডোনা রায় ডুবে আছেন ওড়িসি নাচে৷
সৌরভ গাঙ্গুলিকে বিয়ে করার পর ক্রিকেটের দেশ ভারতে ডোনার ওই পরিচয় সবাই সমান গুরুত্ব হয়তে দেননি৷ না দিলেই কী, নিজের ভালোবাসার নাচকে ছাড়েননি, বরং একটা সময় আঁকড়ে ধরেছেন আরো বেশি করে৷ তাঁর এই ভালোবাসা নতুন প্রজন্মের মাঝেও ছড়াতে খুব ছোট আঙ্গিকে শুরু করেছিলেন ‘দীক্ষা মঞ্জরি'৷ লতা মঙ্গেশকরের আশীর্বাদপুষ্ট সেই মন্দিরে হাজারো দীক্ষার্থীর ভীড়৷ কে বলে হিন্দি ছবি আর পশ্চিমা নাচ ভারতীয় নৃত্যকলার বারোটা বাজাচ্ছে?
ডোনা মনে করেন, সব ভালোরই আলাদা একটা কদর আছে, থাকবে৷ ডয়চে ভেলের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে কয়েকবারই ঘুরেফিরে এসেছে কথাটা৷ কলকাতায় কোন নাচ শেখায় তরুনদের আগ্রহ বেশি? উত্তর, ‘‘কত্থক, কথাকলি, ভরতনাট্যম, ওড়িসি - সবই৷'' কেন? সহজ যুক্তি - ভালো ভালো গুরুর কাছ থেকে শিখে এসে শেখাচ্ছেন অনেকে, সুতরাং, সবাই তো শিখতে চাইবেই৷ পশ্চিমবঙ্গে নাচকে কি একক পেশা ভাবা যায়? এই প্রশ্নেও ডোনা গাঙ্গুলির জবাব, ‘‘ভালোভাবে শিখলে অবশ্যই একক পেশা হতে পারে নাচ৷''
ডোনা এ কথা বলতেই পারেন৷ ভালো নাচ শিখে নিজে তো পুরোপুরি সফল!
সাক্ষাৎকার: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ