1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পশ্চিম তীরে নতুন বসতি গড়বে ইসরায়েল

৩১ মার্চ ২০১৭

গত ২০ বছরেরও বেশি সময় পর ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা বৃহস্পতিবার দখলকৃত পশ্চিম তীরে নতুন বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে৷ ফিলিস্তিনিরা এই ঘটনায় ক্রুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/2aODl
Symbolbild Israel Siedlungen im Westjordanland
ছবি: picture-alliance/newscom/D. Hill

ঊর্ধ্বতন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা হানান আশরাউয়ি বলছেন, ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ ‘‘ফিলিস্তিনি মানবাধিকারের প্রতি স্পষ্ট অবজ্ঞা' প্রদর্শন৷ ‘‘মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি বজায় রাখার শর্ত মানার চেয়ে অবৈধ বাসিন্দাদের সন্তুষ্ট রাখতেই ব্যস্ত ইসরায়েল'', বলেন তিনি৷

উল্লেখ্য, নতুন বসতিটি স্থাপিত হবে আমোনায়, যেখান থেকে গত ফেব্রুয়ারিতে ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্ট বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল৷ ঐ ঘটনার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু আমোনার বাসিন্দাদের জন্য নতুন সম্প্রদায় সৃষ্টি করার অঙ্গীকার করেছিলেন৷ বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের আগে সদস্যদের তাঁর এই অঙ্গীকারের কথা স্মরণ করিয়ে দেন নেতানিয়াহু৷

Hanan Ashrawi on Conflict Zone

ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর দখলকৃত এলাকায় বসতি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিল ইসরায়েল৷ কারণ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনের মতো ট্রাম্প প্রশাসন ইসরায়েলের এসব পদক্ষেপের কড়া সমালোচক নয়৷ গত ডিসেম্বরে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেমে বসতি স্থাপন অবৈধ ঘোষণা করে জাতিসংঘ একটি রেজোলিউশন পাস করে৷ বারাক ওবামা প্রশাসন এই রেজোলিউশন পাসে কোনো ভেটো দেয়নি৷ সেই সময়ই যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন নভেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প৷

এদিকে, ইসরায়েলের নতুন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জোরালো সমালোচনামূলক প্রতিক্রিয়া জানায়নি হোয়াইট হাউস৷ তারা শুধু বলেছে, ইসরায়েলের পদক্ষেপ ‘শান্তি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক নয়'৷ হোয়াইট হাউস আশা করছে, ইসরায়েল ভবিষ্যতে সংযম দেখাবে৷

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের দাবি ইসরায়েল ১৯৬৭ সালে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেম দখল করে নেয়৷ ইসরায়েলের মানবাধিকার সংস্থা বি'টিসেলেম এর হিসেবে, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেমে প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ ইহুদি বাস করছেন৷

১৯৯৩ সালে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তিতে যে পরিমাণ বসতি থাকার কথা বলা হয়েছিল এখন সেখানে তার প্রায় তিনগুন বসতি আছে৷

ইসরায়েল বলে থাকে, ভবিষ্যেত শান্তিচুক্তি হলে এই বসতিগুলো ইসরায়েল রাষ্ট্রের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হবে৷ বিনিময়ে, ফিলিস্তিনকে সমসংখ্যক ও একই গুনসম্পন্ন জমি দেয়া হবে৷

Infografik Siedlungen im Westjordanland ENGLISCH

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য