পশ্চিম তীরে নতুন বসতি গড়বে ইসরায়েল
৩১ মার্চ ২০১৭ঊর্ধ্বতন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা হানান আশরাউয়ি বলছেন, ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ ‘‘ফিলিস্তিনি মানবাধিকারের প্রতি স্পষ্ট অবজ্ঞা' প্রদর্শন৷ ‘‘মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি বজায় রাখার শর্ত মানার চেয়ে অবৈধ বাসিন্দাদের সন্তুষ্ট রাখতেই ব্যস্ত ইসরায়েল'', বলেন তিনি৷
উল্লেখ্য, নতুন বসতিটি স্থাপিত হবে আমোনায়, যেখান থেকে গত ফেব্রুয়ারিতে ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্ট বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল৷ ঐ ঘটনার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু আমোনার বাসিন্দাদের জন্য নতুন সম্প্রদায় সৃষ্টি করার অঙ্গীকার করেছিলেন৷ বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের আগে সদস্যদের তাঁর এই অঙ্গীকারের কথা স্মরণ করিয়ে দেন নেতানিয়াহু৷
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর দখলকৃত এলাকায় বসতি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিল ইসরায়েল৷ কারণ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনের মতো ট্রাম্প প্রশাসন ইসরায়েলের এসব পদক্ষেপের কড়া সমালোচক নয়৷ গত ডিসেম্বরে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেমে বসতি স্থাপন অবৈধ ঘোষণা করে জাতিসংঘ একটি রেজোলিউশন পাস করে৷ বারাক ওবামা প্রশাসন এই রেজোলিউশন পাসে কোনো ভেটো দেয়নি৷ সেই সময়ই যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন নভেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প৷
এদিকে, ইসরায়েলের নতুন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জোরালো সমালোচনামূলক প্রতিক্রিয়া জানায়নি হোয়াইট হাউস৷ তারা শুধু বলেছে, ইসরায়েলের পদক্ষেপ ‘শান্তি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক নয়'৷ হোয়াইট হাউস আশা করছে, ইসরায়েল ভবিষ্যতে সংযম দেখাবে৷
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের দাবি ইসরায়েল ১৯৬৭ সালে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেম দখল করে নেয়৷ ইসরায়েলের মানবাধিকার সংস্থা বি'টিসেলেম এর হিসেবে, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেমে প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ ইহুদি বাস করছেন৷
১৯৯৩ সালে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তিতে যে পরিমাণ বসতি থাকার কথা বলা হয়েছিল এখন সেখানে তার প্রায় তিনগুন বসতি আছে৷
ইসরায়েল বলে থাকে, ভবিষ্যেত শান্তিচুক্তি হলে এই বসতিগুলো ইসরায়েল রাষ্ট্রের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হবে৷ বিনিময়ে, ফিলিস্তিনকে সমসংখ্যক ও একই গুনসম্পন্ন জমি দেয়া হবে৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, এপি)