মাইকেল জ্যাকসন
২৮ জুন ২০১২মাত্র পাঁচ বছর বয়স থেকেই সংগীত জগতে মাইকেল জ্যাকসন'এর সফল অগ্রযাত্রা৷ ষাট দশকে তিনি ও তাঁর চাঁর ভাই-এর ‘দ্য জ্যাকসন ফাইভ' সংগীত গোষ্ঠী পেয়েছিল আন্তর্জাতিক খ্যাতি৷ মাইকেল ছিলেন এই গোষ্ঠীর প্রধান গায়ক৷
১৯৭১ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে তিনি শুরু করেন তাঁর একক ক্যারিয়ার৷ একের পর এক হিট অ্যালবাম বের হয় বাজারে৷ ৮২ সালে তাঁর অ্যালবাম ‘থ্রিলার' তাঁকে এনে দেয় বিশ্বখ্যাতি৷ এই অ্যালবামের ব্যবসায়ীক সাফল্য এক নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করে যা আজ অবধি কোনো সংগীত শিল্পী তা ভঙ্গ করতে পারেননি৷
মাইকেল জ্যাকসন'এর জন্ম ১৯৫৮ সালের ২৯শে আগস্ট ইন্ডিয়ানা'র গ্যারি শহরে, এক আফ্রো-অ্যামেরিকান পরিবারে৷ বাবা জো জ্যাকসন ১৯৬৪ সালে, পাঁচ ছেলে – জেরমাইন, জ্যাকি, টিটো, মেরলন ও মাইকেল'কে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন ‘দ্য জ্যাকসন ফাইভ' সংগীত গোষ্ঠী৷ কনিষ্ঠতম মাইকেল'এর অসাধারণ সংগীত ও নৃত্য পরিবেশনা দৃষ্টি আকর্ষণ করে অসংখ্য সংগীত রশিকদের৷ এর পরের বছরই ‘মোটাউন' রেকর্ড কোম্পানির সাথে চক্তিবদ্ধ হন তাঁরা৷ আর সেই থেকেই তাঁর অসাধারণ সফল সংগীত জীবন ঠেকিয়ে রাখা যায়নি৷ সংগীতের পাশাপাশি নৃত্য পরিবেশনায় তাঁর এক নতুন আঙ্গিকের অসামান্য কলা কৌশল মুগ্ধ করেছিল অসংখ্য শ্রোতা দর্শকদের৷ তিনিই একমাত্র পপ ও রক অ্যান্ড রোল সংগীত শিল্পী যিনি ‘ড্যান্স হল অফ ফেম'-এ অভিষিক্ত হয়েছেন৷
সমাজ সেবায় উদ্বুদ্ধ মাইকেল শিশুদের সাহায্যার্থে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘হিল দ্য ওয়ার্ল্ড'৷ তাঁর জীবদ্দশায় প্রায় ৩০ কোটি ডলার দান করেছেন ৩৯টি সাহায্য সংস্থার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে৷ সংগীত জীবনে পেয়েছেন আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা ও সাফল্য৷ বিশ্বব্যাপী ৭৫ কোটিরও বেশি অ্যালবাম বিক্রি হয়েছে তাঁর৷ ১৩ বার গ্র্যমিসহ সংগীত জগতের প্রায় সব ধরণের পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি৷ ২০০৯ সালের ২৫শ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৫০ বছর বয়সে লস এঞ্জেলেস'এ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন পপ সম্রাট মাইকেল জ্যাকসন৷
প্রতিবেদন: মারুফ আহমদ
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ