1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পণবন্দি নিয়ে ইসরায়েলে বিক্ষোভ তুঙ্গে, চাপে নেতানিয়াহু

৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি করে পণবন্দিদের মুক্তির ব্যবস্থা করার দাবিতে তৃতীয় দিনেও বিক্ষোভে উত্তাল ইসরায়েল।

https://p.dw.com/p/4kF6I
পরপর তিনদিন তেল আভিভে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
দ্রুত যুদ্ধবিরতি চুক্তি করে পণবন্দিদের মুক্তির দাবিতে তেল আভিভে বিক্ষোভ। ছবি: Ariel Schalit/AP/picture alliance

তেল আভিভের এই বিক্ষোভ প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে চাপে ফেলেছে। তবে সোমবার রাতে নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনায় তিনি কোনো চাপের কাছে নতিস্বীকার করবেন না। 

কয়েকদিন আগে গাজায় ইসরায়েলের সেনা পৌঁছানোর কয়েকঘণ্টা আগে ছয়জন পণবন্দির দেহ উদ্ধার করা হয়। তানিয়ে ইসরায়েলে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। 

বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, সময় দ্রুত কমে আসছে। বাকি যে সব পণবন্দি গাজায় আছেন, তাদের দ্রুত মুক্তির ব্যবস্থা করা হোক। গাজায় এখনো একশ জনের মতো পণবন্দি আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। 

নতুন প্রস্তাব

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব তৈরি হচ্ছে। মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের সাহায্যে তারা এই খসড়া প্রস্তাব তৈরি করছেন। 

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ''গাজায় ছয়জন পণবন্দির হত্যা একটা বিষয় বুঝিয়ে দিচ্ছে জরুরি ভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। আমাদের বিশ্বাস আমরা যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে পারব।''

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, ''একটা চুক্তি করার সময় এসেছে। মিশর ও কাতারের সঙ্গে মিলে যুক্তরাষ্ট্র আগামী দিনে সেই লক্ষ্যে কাজ করবে''। 

মিলার বলেছেন, ''প্রচুর পণবন্দি এখনো গাজায় আছেন। তারা এই চুক্তির জন্য অপেক্ষা করছেন। ইসরায়েলের মানুষও আর অপেক্ষা করতে রাজি নন। ফিলিস্তিনিরা এই যুদ্ধের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। তাদের জন্যও দ্রুত এই চুক্তি হওয়া দরকার।'' 

কিরবি ও মিলারের এই প্রতিক্রিয়া নেতানিয়াহুর বক্তব্যের পরে এসেছে। নেতানিয়াহু সোমবার এটাও বলেছিলেন, ইসরায়েলের সেনা কিছুতেই গাজা ও মিশরের সীমান্ত থেকে সরবে না। হামাস জানিয়েছে, যে কোনো চুক্তি নিয়ে আলোচনার পূর্বশর্ত হলো, এই সেনা সরাতে হবে। 

নেতানিয়াহু কি বন্দিবিনময়ের ক্ষেত্রে যথেষ্ট তৎপরতা দেখাচ্ছেন, এই প্রশ্নের জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন শুধু বলেছেন, 'না'। 

নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্টের মন্তব্য

জাতিসংঘে স্লোভানিয়ার দূত এবং নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্ট স্যামুয়েল জুবোগার বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনা নিয়ে তাদের ধৈর্য শেষ হয়ে আসছে। তিনি বলেছেন, ''যদি কোনো যুদ্ধবিরতি না হয়, তাহলে নিরাপত্তা পরিষদ ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাববে।'' 

তিনি বলেছেন, ''নিরাপত্তা পরিষদ মনে করছে, হয় এই চুক্তি হোক, তারপর পরিষদ তা বিচার করবে অথবা পরিষদ এই চুক্তির জন্য যা করার করবে।'' তিনি জানিয়েছেন, ''যাই হোক না কেন, তা সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে হয়ে যাবে। আমরা চাইছি বলে হবে তা নয়। আসল কারণ, ধৈর্য শেষ হয়ে যাচ্ছে।'' 

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)