পঞ্জশির তাদের দখলে, দাবি তালেবানের
৬ সেপ্টেম্বর ২০২১রোববার তালেবান দাবি করেছিল বাজারাক ও রোখা বাদ দিয়ে বাকি পঞ্জশির তারা দখল করে নিয়েছে। সোমবার তারা জানিয়েছে, পঞ্জশির এখন পুরোপুরি তাদের দখলে। তালেবান মুখপাত্র জাবিরুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, ''পঞ্জশির আমাদের দখলে। এখন তাই পুরো আফগানিস্তান আমাদের দখলে চলে এল।''
আহমেদ মাসুদের নেতৃত্বাধীন ন্য়াশনাল রেসিটেন্স ফ্রন্টের(এনআরএফ) তালেবানের এই দাবি নিয়ে কিছু বলেনি। তবে রোববারই তারা আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন। এনআরএফের তরফেও বলা হয়েছিল, ''তালেবানের সঙ্গে আলোচনা চালাতে আমরা রাজি। আমাদের আশা, তালেবান আমাদের প্রস্তাবে সাড়া দেবে। পঞ্জশিরে তালেবান আক্রমণ করছে। দু’তরফেই প্রাণহানি হয়েছে। আমরা যুদ্ধ শেষ করতে চাই।''
এই পরিস্থিতিতে আহমেদ মাসুদও জানান, মুসলিম স্কলারদের প্রস্তাব মেনে তিনি আলোচনায় বসতে রাজি। রোববার ফেসবুক পোস্টে মাসুদ বলেছেন, নীতিগতভাবে এনআরএফ বর্তমান সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে ও লড়াই থামাতে আলোচনায় বসতে রাজি। তিনি বলেছেন, দীর্ঘস্থায়ী শান্তির জন্য এনআরএফ আলোচনা চায়।
এর আগে তালেবান দাবি করেছিল, রাজধানী বাজারাক ও রোখা জেলা ছাড়া বাকি সব এলাকা তারা দখল করে নিয়েছে। তালেবান মুখপাত্র করিমি বলেছিলেন, তালেবান বাহিনী এখন বাজারাক ও রোখার দিকে এগোচ্ছে।
ন্যাশনাল রেসিসটেন্স ফ্রন্টের(এনআরএফ) প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পঞ্জশির দখল করা সময়ের অপেক্ষা।
কিন্তু এনআরএফের দাবি ছিল, পঞ্জশিরে তালেবান হারছে। তাদের মুখপাত্র বলেছিলেন, এক হাজার তালেবানকে ফাঁদে ফেলতে পেরেছে তারা। তালেবান যোদ্ধারা হয় মারা গেছেন, অথবা বন্দি হয়েছেন। অনেকে আত্মসমর্পন করেছেন। বকিরা পালিয়েছেন। বন্দিদের অধিকাংশই বিদেশি। সব চেয়ে বেশি পাকিস্তানি।
এনআরএফের মুখপাত্রের দাবি, তারা ইচ্ছে করেই তালেবানকে উপত্যকায় ঢুকতে দিয়েছেন। তারপর তারা ফাঁদে পড়েছে। এটা একটি কৌশল। সোভিয়েত আক্রমণের সময় এবং পরে তালেবানদের সঙ্গে লড়াই করতে এই কৌশল নেয়া হয়েছিল। প্রতিবারই তা সফল হয়েছে। রোববার তালেবানের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তার দাবি
জাতিসংঘের উদ্যোগ
কাবুলে জাতিসংঘের দূত মার্টিন গ্রিফিথস তালেবান নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। তার অনুরোধ, তালেবান যেন সাধারণ মানুষকে রক্ষা করে। তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল গনি বরাদরের সঙ্গেও তিনি কথা বলেছেন।
জাতিসংঘের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তালেবান নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, সব মানুষ যাতে মানবিক সাহায্য পান সেটা তারা দেখবেন। মানবাধিকার রক্ষা কর্মীদের যাতায়াতের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হবে না। জাতিসংঘের হিসাব, এক কোটি ৮০ লাখ আফগানের মানবিক সাহায্য প্রয়োজন।
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)