শান্তিরক্ষীদের শাস্তি চায় যুক্তরাষ্ট্র
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮জাতিসংঘে মার্কিন দূত নিকি হ্যালি জানান, যেসব শান্তিরক্ষী বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নির্যাতন চালায় এবং তাঁদের রক্ষায় ব্যর্থ হয়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পক্ষে তাঁর দেশ৷ এ লক্ষ্যে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে চাপ দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি৷
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি বেশকিছু যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এসেছে৷ এছাড়াও সাউথ সুদান এবং সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে মারাত্মক সহিংসতার হাত থেকে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় শান্তিরক্ষীরা ব্যর্থ হয়েছেন বলেও অভিযোগ অনেকের৷
নিরাপত্তা পরিষদে এ বিষয়ে বিতর্ক চলাকালে নিকি হ্যালি বলেন, ‘‘এমনকি কিছু ক্ষেত্রে শান্তিরক্ষীদেরই নির্যাতন এবং শোষণে জড়িত থাকার প্রমাণও মিলেছে৷''
হ্যালি বলেন ‘শান্তিরক্ষীদের ভূমিকা বাড়াতে’ নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করবে৷ খসড়া প্রস্তাবে, অসদাচরণে দায়ী শান্তিরক্ষীদের দেশে ফেরত পাঠানো এবং বেতন কাটার প্রস্তাব রাখা হয়েছে৷
বিশ্বজুড়ে ১৪টি মিশনে জাতিসংঘের ৯৬ হাজার শান্তিরক্ষী মোতায়েন আছেন৷ এই বিপুল সংখ্যক শান্তিরক্ষীদের জন্য বার্ষিক ৬৯০ কোটি ডলার খরচ করতে হয় জাতিসংঘকে৷ এর চার ভাগের এক ভাগ বরাদ্দ চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷
প্রতিক্রিয়া
রাশিয়া ও চীন অবশ্য এই খসড়া প্রস্তাব নিয়ে তেমন আগ্রহ দেখায়নি৷ দেশদুটি বলছে, যেসব দেশ শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য পাঠায়, তাঁদের মতামতেরও গুরুত্ব দেয়া উচিত৷
রাশিয়ার দূত বাসিলি নেবেনসিয়া বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের ‘মাইক্রো-ম্যানেজমেন্টে' জড়িয়ে পড়া ঠিক নয় এবং শান্তিরক্ষা মিশনের সুনির্দিষ্ট ও পরিষ্কার রাজনৈতিক ম্যান্ডেট থাকা উচিত৷
প্রস্তাব পাসের মাধ্যমে সেনা সরবরাহকারী দেশগুলোকে শাস্তি দেয়ার চেয়ে দেশগুলোকে এ ব্যাপারে রাজনৈতিকভাবে সচেতন করার ব্যাপারে রাশিয়া বেশি আগ্রহী বলেও মন্তব্য নেবেনসিয়ার৷
শান্তিরক্ষী মিশনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেনা সরবরাহকারী দেশ বাংলাদেশ মনে করে পর্যাপ্ত সম্পদ ও জনবল থাকার সাথে মাঠের ফল ওতপ্রোতভাবে জড়িত৷ ফলে দেশটি সতর্ক করে দিয়েছে, ‘‘পারফরম্যান্সে কথিত ব্যর্থতার অজুহাতে বাজেট ও সেনা কমানোর ফলে রাজনৈতিকভাবে লাভবান হলেও, তাতে শান্তিরক্ষার মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে৷''
এডিকে/এসিবি(এপি, এএফপি)