শান্তিরক্ষা মিশন কি বন্ধ হচ্ছে?
২৫ মে ২০১৭জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট কমানোর প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে জাতিসংঘের পক্ষে মানবিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে নেয়া একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়বে৷ মুখপাত্র স্টেফান ড্যুশারি বলেন, ‘‘আমাদের বর্তমান অবস্থা থেকে প্রস্তাবিত বাজেটের দিকে তাকালে এটা পরিষ্কার বোঝা যায় যে, জাতিসংঘের পক্ষে শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়া, উন্নয়ন, মানবাধিকার এবং মানবিক সহায়তা প্রদানের কার্যক্রম চালিয়ে নেয়া একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়বে৷’’
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের বাৎসরিক বাজেটের সবচেয়ে বড় অংশ আসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে৷ জাতিসংঘের নিয়মিত বাজেট প্রায় সাড়ে পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পঁচিশ শতাংশ প্রদান করে সেই দেশ৷ এছাড়া শান্তিরক্ষা মিশনের আলাদা বাজেটের (প্রায় আট বিলিয়ন মার্কিন ডলার) আঠাশ দশমিক পাঁচ শতাংশও এতদিন যুক্তরাষ্ট্র দিয়ে এসেছে৷
কিন্তু অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া অর্থ বছরের যে বাজেট পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে পেশ করেছে তাতে কূটনীতি এবং ত্রাণ বাজেট প্রায় উনিশ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কমানোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে৷ এতে বলা হয়েছে যে, শান্তিরক্ষা মিশনের বর্তমান বাজেট থেকে প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার কমানো হবে৷ শুধু শান্তিরক্ষা মিশনই নয়, ইউনিসেফ এবং ইউএনএফপিএ’র বাজেট কমানোরও ঘোষণা দিয়েছে দেশটি৷
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের বর্তমান বাজেট দিয়ে ১৬টি মিশন, একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র, লজিস্টিক বেস এবং ১১৩,০০০ সদস্য মোতায়েনের খরচ বহন করা হয়৷ এর মধ্যে কঙ্গো, দক্ষিণ সুদান এবং সুদানের দারফুরে থাকা মিশনগুলোর প্রতিটিতে এক বিলিয়নের বেশি মার্কিন ডলার করে খরচ হচ্ছে৷ এছাড়া শীঘ্রই হাইতি, আইভরি কোস্ট এবং লাইবেরিয়াতে মিশন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ৷
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন মাঝেমাঝেই সমালোচনার মুখে পড়ে৷ অভিযোগ রয়েছে যে, হাইতিতে পরিচালিত মিশন সে দেশে ২০১০ সালের ভূমিকম্পের পর কলেরা ছড়িয়ে পড়া রোধে ব্যর্থ হয়েছে৷ এছাড়া কিছু শান্তিরক্ষী ‘সেক্স রিং’ পরিচালনা করেছিল বলেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে৷
এআই/এসিবি (এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)