নতুন ফর্মুলা
২১ জুলাই ২০১৩
আর সরকারের উচিত যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা প্রকাশ করা৷ তা না হলে দেশে সংঘাত-সংঘর্ষ আরো বাড়বে৷ ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন৷
রাশেদ খান মেনন এমপি মনে করেন স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, স্থানীয় সরকার ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই চারটি মন্ত্রণালয় নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের অধীনে দিলে নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী হবে৷ আর সেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব৷ তিনি তাঁর যুক্তি তুলে ধরে বলেন, এর বাইরে অন্য কোনো মন্ত্রণালয় নির্বাচনে তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনা৷ তাই সেগুলো নির্বাচনের সময় কমিশনের অধীনে আনার প্রয়োজন নেই৷ সাধারণ নিয়মে নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের যেকোনো সিদ্ধান্ত অগ্রাধিকার পায়৷
তিনি বলেন নির্বাচনের সময় সর্বদলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে৷ বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সংসদে আসনের ভিত্তিতে সব দল থেকে প্রতিনিধি নিয়ে একটি ছোট মন্ত্রিসভা গঠন করা যায়৷ এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর নিজেরও একটি ফর্মুলা আছে৷
তবে রাশেদ খান মেনন মনে করেন এই নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থার রূপরেখা খুব দ্রুতই প্রকাশ করা উচিত৷ এটা প্রকাশে যত দেরি হবে দেশে সংঘাত সংঘর্ষ আরো বাড়বে৷ আর তাতে তৃতীয় কোনো শক্তি সুযোগ নিতে পারে৷ তিনি বলেন মহাজোটের শরিক হিসেবে তিনি বারবার সরকারকে নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা প্রকাশের তাগিদ দিয়েছেন৷ কিন্তু তাঁর কথা আমলে নেয়া হচ্ছেনা৷ তিনি জোটের বৈঠকেও বিষয়টি তুলেছেন৷
তিনি বলেন সরকারের অনেক সাফল্য আছে৷ কিন্তু সরকার জোটের বাইরে গিয়ে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে৷ আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংঠনের কতিপয় নেতার দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাস সেইসব সাফল্যকে ম্লান করে দিয়েছে৷ যার প্রতিফলন ঘটেছে পাঁচটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে৷ তাঁর মতে জোটের অংশীদার হিসেবে তারা দায় এড়াতে পারেন না৷ কিন্তু জোটে থাকলেও তারা সরকারে নেই৷ তাই সরকারের দায় সরকারকেই নিতে হবে৷
রাশেদ খান মেনন বলেন সামনে আরো কঠিন সময় অপেক্ষা করছে৷ মৌলবাদি চক্র এক হয়েছে৷ তারা যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে৷ সরকার এখনো জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেনা৷ জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে হবে৷ আর ধর্মীয় উন্মাদনার বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করতে উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে৷ তিনি মনে করেন আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে মুক্তিযুদ্ধ এবং প্রগতিশীলতার পক্ষের শক্তিকে নিয়ে আরো বৃহত্তর জোট গড়ে তুলতে হবে৷ নয়তো সামনে কঠিন সময় অপেক্ষা করছে৷