1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিদায়ী সরকারেও সংকট

২৯ নভেম্বর ২০১৭

সরকারের অবস্থান অগ্রাহ্য করে ইউরোপীয় স্তরে জার্মানির হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভোট দিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষিমন্ত্রী৷ এই ঘটনার জের ধরে আগামী সরকার গঠনের উদ্যোগের উপর কালো ছায়া পড়ছে৷

https://p.dw.com/p/2oQyB
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও কৃষিমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান স্মিট
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler

খোদ জার্মান চ্যান্সেলরের নির্দেশ অমান্য করে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে জার্মানির হয়ে নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান স্মিট৷ পরিবেশমন্ত্রী ও এসপিডি দলের নেত্রী বারবারা হেনড্রিক্স বার বার তাঁকে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন যে, জার্মানি ইউরোপীয় ইউনিয়নে গ্লাইফোসেট নামের আগাছানাশক সার ব্যবহারের বিরোধী৷ তাই এই প্রশ্নে ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল৷ অথচ মহাজোট সরকারের এই অবস্থান সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে আরও পাঁচ বছরের জন্য গ্লাইফোসেট ব্যবহারের পক্ষে ভোট দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী স্মিট৷ ফলে বাভেরিয়ার সিএসইউ দলের এই রাজনীতিক সম্পর্কে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ পরিস্থিতি সামলাতে স্মিট কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে গ্লাইফোসেটের ব্যবহার কমানোর পদক্ষেপ নিতে চান৷

জার্মানির বিদায়ী সরকারের মধ্যে এমন অস্থিরতা আগামী সরকার গড়ার উদ্যোগের উপর কালো ছায়া ফেলছে৷ ম্যার্কেলের কর্তৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠছে৷ এসপিডি চায়, ম্যার্কেল যেন নিজের শিবিরের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেন৷ পরিবেশমন্ত্রী ‘আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ' হিসেবে কৃষিমন্ত্রীকে বরখাস্ত করার জন্য পরোক্ষ চাপ দিচ্ছেন৷

এই ঘটনার ফলে জার্মানিতে আবার মহাজোট সরকার গড়ার চলমান উদ্যোগ বড় ধাক্কা খেল৷ ম্যার্কেলের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সরকারে যোগদানের জন্য আরও শর্ত চাপানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে এসপিডি দল৷ গ্লাইফোসেট-কেলেঙ্কারির ‘ক্ষতিপূরণ' হিসেবে এতকালের আপত্তি ছেড়ে একটি শ্রম আইন সংস্কারের দাবি মেনে নেবার প্রস্তাব দিয়েছেন এসপিডি দলের এক নেতা৷ এর আওতায় শ্রমিক-কর্মীরা পার্ট-টাইম চাকরি থেকে ফুল-টাইম চাকরিতে ফিরে যাবার আইনি অধিকার পাবেন৷ তিনিও এমন ‘আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ' নেবার দাবি করেছেন৷

বৃহস্পতিবার জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার মহাজোটের তিনি নেতাকে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন৷ আগামী সপ্তাহে এসপিডি দলের সম্মেলনে আবার মহাজোটে যোগদানের বিষয়ে তর্ক-বিতর্ক হবে৷ তার আগে ম্যার্কেল তথা ইউনিয়ন শিবিরের আচরণ এসপিডি দলের উপর প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন অনেক নেতা৷

ম্যার্কেল পড়েছেন উভয় সংকটে৷ স্থিতিশীল সরকার গড়তে এসপিডি-কে তিনি কাছে টানতে চান৷ অন্যদিকে তাদের চাপের মুখে একের পর এক ছাড় দিলে নিজের ইউনিয়ন শিবির তা সহজে মেনে নেবে না৷ বিশেষ করে সিএসইউ দল কৃষিমন্ত্রীর পক্ষেই অবস্থান নেওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি)