নাইজেরিয়ায় আবারও শিশু অপহরণ
৩১ মে ২০২১অপহরণের নতুন ঘটনাটি নাইজেরিয়ার তেগিনা শহরের৷ কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয়দের মতে হামলাকারীরা মোটরসাইকেলে করে শহরে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে একজনকে হত্যা করার পর স্কুলে প্রবেশ করে৷
হামলার সময় প্রায় ২০০ শিশু ছিল স্কুলে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ পালাতে সক্ষম হয়৷ নাম জানাতে রাজি নন এমন এক শিক্ষক জানান, জঙ্গিরা প্রাথমিকভাবে ১০০-র বেশি শিশুকে জিম্মি করে পরে চার থেকে বারো বছর বয়সীদের ছেড়ে দেয়া হয়৷ তবে অপহৃত হওয়া মোট শিশুর সংখ্যা তিনি জানাতে পারেন নি৷
ছয় সপ্তাহ আগে অপহৃত হওয়া ১৪ জন শিক্ষার্থীর মুক্তির ঠিক একদিন পরেই এই অপহরণের ঘটনাটি ঘটল৷ হামলাকারীরা ২০ এপ্রিল কদুনার গ্রিনফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অপহরণ করেছিল, ওই হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মী নিহত হন৷ হামলাকারীরা ২০ জন শিক্ষার্থীকে অপহরণ করেছিল৷ হামলার পরপরই মুক্তিপণ দাবি আদায়ের জন্য পাঁচ শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়৷ কাদুনা রাজ্য সরকার অপহরণকারীদের মা-বাবাকে মুক্তিপণ না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল৷
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল এই দেশে শিক্ষার্থীদের বারবার অপহরণ করা হচ্ছে৷ ২০১৪ সালে বোকো হারামে ২৭৬ জন স্কুলছাত্রীর নিখোঁজ হওয়া সবচেয়ে বড় অপহরণের ঘটনা৷
জঙ্গিদের একটি দল দীর্ঘদিন ধরে উত্তর-পূর্ব নাইজেরিয়ার একটি ইসলামপন্থী রাষ্ট্রের পক্ষে লড়াই করে আসছে৷ আবারও অপহরণের ঘটনায় নাইজেরিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে৷ লাগোসের আর্চবিশপ ৬১ বছর বয়সী আলফ্রেড অ্যাডেওয়াল মার্টিনস, বর্তমান পরিস্থিতিতে নাইজেরিয়ার সরকারকে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছেন৷ তিনি জোর দিয়ে বলেন, দেশকে নৈরাজ্যের হুমকির হাত থেকে বাঁচাতে এই পদক্ষেপটি গুরুত্বপূর্ণ৷ সারা দেশে অপহরণসহ সব ধরনের সহিংসতা বাড়ায় তিনি উদ্বিগ্ন ৷ তিনি বলেন, দেশের রাজনীতি সর্বস্তরে ব্যর্থ হয়েছে৷
সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গীর্জা এবং মসজিদ এবং নাগরিক সমাজকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷
এনএস/কেএম (ডিপিএ,এএফপি,কেএনএ)