1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নদীকে নদীর মতো বইতে দিন: ড.নজরুল ইসলাম

২২ সেপ্টেম্বর ২০১১

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তা নদীর জলবণ্টনকে কেন্দ্র করে চুক্তির ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত৷ কিন্তু দু'টি দেশ কৃত্রিমভাবে একটি নদীর জলের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করলে তার পরিণাম আদৌ কি ভালো হতে পারে?

https://p.dw.com/p/12dxE
বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্কের বিশ্ব-সমন্বয়কারী ড. নজরুল ইসলামছবি: DW

জাতিসংঘে কর্মরত অর্থনীতি ও সামাজিক বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্কের বিশ্ব-সমন্বয়কারী ড. নজরুল ইসলাম মনে করেন, নদীর গতিপথে কোনরকম পরিবর্তন ঘটানোই উচিত নয়৷ এর ফলে একদিকে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়, যার দীর্ঘমেয়াদী কুপ্রভাব কারো উপকারে আসে না৷ উজানেই নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে ব্যাঘাত ঘটালে, নদীর জল কৃত্রিমভাবে সেচের কাজে লাগালে পলিমাটির প্রবাহেও ব্যাঘাত ঘটে৷ মোহনা পর্যন্ত পর্যাপ্ত জল ও মাটি পৌঁছায় না৷ ফলে গোটা নদীরই ক্ষতি হয়৷

নদীর নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা রাজনৈতিক স্তরেও উত্তেজনার সৃষ্টি করে৷ শুধু ভারত-বাংলাদেশ নয়, ভারতের মধ্যে বিভিন্ন রাজ্যগুলির মধ্যেও নদীর জলবণ্টনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা লেগেই রয়েছে৷ গঙ্গার মতো নদীর জলকে কেন্দ্র করে উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের নিজস্ব স্বার্থের সংঘাত ঘটছে৷ অন্যদিকে চীন ব্রহ্মপুত্র নদের নিয়ন্ত্রণ করার ফলে সেই সিদ্ধান্তের শিকার হচ্ছে ভারত৷ ফলে গঙ্গা বা তিস্তার প্রবাহের জন্য বাংলাদেশকে যেমন ভারতের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে. তেমন ভারতকে চীনের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে৷

Bangladesch China plant Staudamm bei Brahmaputra
চীন ব্রহ্মপুত্র নদে বাঁধ তৈরি করলে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চল ও বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেছবি: AP

ড. নজরুল ইসলাম মনে করেন, সব দেশের রাজনীতিক, আমলা ও নীতি নির্ধারণকারীদের মনোভাবের মৌলিক পরিবর্তনের প্রয়োজন৷ এক্ষেত্রে বাণিজ্যিক মনোভাব ত্যাগ করে প্রকৃতিসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি নিতে হবে৷ উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত নদীর প্রবাহের স্বাভাবিক গতি রোধ করে, প্রকৃতির বিধান না মেনে শুধু নদী থেকে জল শুষে নেওয়ার মানসিকতা বন্ধ করতে হবে৷ এতে সাময়িকভাবে কিছু সংকীর্ণ সুবিধা পাওয়া গেলেও আখেরে সবারই ক্ষতি হয়৷

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড.মনমোহন সিং'এর সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের সময় বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক – বেন ও ‘বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন' বা ‘বাপা'র পক্ষ থেকে দুই প্রধানমন্ত্রীর কাছেই এই মর্মে এক স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে৷

সাক্ষাৎকার: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান