তিস্তা চুক্তি হবেই, পদ্ধতি শুরু হয়েছে: সুকান্ত
২১ সেপ্টেম্বর ২০১১তিস্তা চুক্তি ড. মনমোহন সিং-এর সফরে না হওয়ায় বাংলাদেশবাসীর প্রত্যাশা একটা বড়সড়ো ধাক্বা খেয়েছে৷ এই সফরের অন্যান্য অর্জনগুলির কথা মনে রাখলেও৷ কারণ, এই চুক্তিটিই ছিল সবচেয়ে বড় প্রত্যাশা৷
তিস্তা চুক্তি ব্যর্থ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতে৷ এই ঘটনার পর কী মমতার গ্রহণযোগ্যতা এবং তাঁর ইমেজ বিনষ্ট হয়েছে বাংলাদেশে? এ প্রশ্নের জবাবে সুকান্ত গুপ্ত অলক বলছেন, এর জবাব হল রাজনীতি৷ কারণ, পূর্বে ভারতের কেন্দ্র সরকারে মন্ত্রী ছিলেন মমতা৷ পরে তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন৷ কিন্তু সেখানেই তাঁর রাজনৈতিক যাত্রা শেষ হয়ে যায়নি৷ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা থেকে তিনি এখনও নির্বাচিত নন৷ আগামীতে সেই নির্বাচনে তাঁকে জিততে হবে মুখ্যমন্ত্রীত্বের দাবি অক্ষুণ্ণ রাখতে৷ সে কারনেই, সেই আসন্ন নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে মমতা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের স্বার্থ দেখতে চেয়েছেন৷
তবে সুকান্ত গুপ্ত অলকের মতে, এই চুক্তি অদূর ভবিষ্যতে অবশ্যই হবে৷ সেটি শুধুই সময়ের অপেক্ষা৷ এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সুকান্ত গুপ্ত অলকের বক্তব্য, বর্তমানে জাতিসংঘে সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পথে হয়তো একটি ঝটিকা সফরে পশ্চিমবঙ্গে যাবেন৷ তাঁর সেই সম্ভাব্য সফরের ইঙ্গিত তিনি আগেই দিয়েছেন৷ সেই সফরে তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ আদতে তিস্তার জলবন্টন চুক্তির আগে যেটা করা দরকার, তা হল এই নদীতে জলের মোট পরিমাণ, তা থেকে কাকে কতটা দেওয়া যেতে পারে ইত্যাদি পরিসংখ্যনগত বিচার বিশ্লেষণ৷ সেই কাজটি শুরু হওয়ার প্রয়োজনীয়তা সর্বাগ্রে৷ সুকান্ত গুপ্ত অলক মনে করছেন, শেখ হাসিনা কলকাতায় গেলে সে কাজের সূত্রপাতটা হতেই পারে৷ তারপরে মূল চুক্তির দিকে অগ্রসর হতে আর কোন বাধা থাকবে না৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক