1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অভিন্ন লকডাউন ব্যবস্থার পক্ষে ম্যার্কেল

৮ এপ্রিল ২০২১

করোনা রুখতে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল একটি ‘সংক্ষিপ্ত অভিন্ন লকডাউন' ব্যবস্থা চালুর পক্ষে মত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার মুখপাত্র উলরিকে ডেমার৷ জার্মানির স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর চাপ বেড়েই চলেছে বলে জানান তিনি৷

https://p.dw.com/p/3riaS
Symbolbild I Verlängerung des Lockdowns in Deutschland
ছবি: Odd Andersen/AFP/Getty Images

ডেমার বুধবার বলেন, ‘‘সংক্ষিপ্ত ও অভিন্ন লকডাউনের আহ্বান সঠিক৷ দেশব্যাপী একটি একক সিদ্ধান্তে আসা এখানে গুরুত্বপূর্ণ৷'' একেক রাজ্যে একেক নিয়ম ‘নিরাপত্তা ও গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে সহায়ক হচ্ছে না' বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷

জার্মানিতে এখন করোনার তৃতীয় ঢেউ চলছে৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে লকডাউন চলছে৷ তবে এক্ষেত্রে ১৬টি রাজ্য নিজেদের মতো করে লকডাউনের নিয়মকানুন ঠিক করছে৷ তবুও পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না৷ খুব দ্রুতগতিতে আইসিইউতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে জানাচ্ছেন ডাক্তাররা৷

সংক্রামক রোগ সংস্থা রবার্ট কখ ইন্সটিটিউট জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ২০ হাজার ৪০৭ জন সংক্রমিত হয়েছেন৷ মারা গেছেন ৩০৬ জন৷ এ নিয়ে জার্মানিতে ২৯ লাখ ৩০ হাজার ৮৫২ জন সংক্রমিত হলেন৷ মারা গেছেন ৭৭ হাজার ৭০৭ জন৷

বর্তমান সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন চলার কথা৷ এরপর কী করা হবে সেই সিদ্ধান্ত নিতে আগামী সোমবার আবারও বৈঠকে বসবেন ম্যার্কেল ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা৷ তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় সেই বৈঠকের সময় এগিয়ে আনার প্রস্তাব করেছেন জার্মানির সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়ার মুখ্যমন্ত্রী আরমিন লাশেট৷ তিনি সম্প্রতি ম্যার্কেলের দল সিডিইউর প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন৷

এদিকে, জার্মানিতে টিকাদান কর্মসূচির ধীরগতি সমালোচিত হচ্ছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ায় টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে জার্মানিকে তাদের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে৷ টিকা কিনতে কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা এবং তারপর সব সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে বিতরণের দায়িত্ব ইইউর৷

অনলাইন প্রকাশনা সংস্থা ‘আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডাটা' বলছে, এখন পর্যন্ত ইইউর মাত্র ১২.৮ শতাংশ নাগরিক অন্তত এক ডোজ টিকা পেয়েছেন৷ যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ৩১ শতাংশ, আর যুক্তরাজ্যের ৪৬ শতাংশ মানুষ অন্তত এক ডোজ টিকা পেয়েছেন৷

আগামী গ্রীষ্মের মধ্যে ৭০ শতাংশ নাগরিককে টিকা দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ইইউ৷ বর্তমানে ধীরগতি থাকলেও শিগগিরই বেশি পরিমাণ টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় ঐ লক্ষ্য পূরণ সম্ভব হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা৷ এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির টিকা উৎপাদনেও গতি আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷

জেডএইচ/কেএম (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য