1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘দুদকের প্রতি প্রত্যাশা বেড়েছে'

৮ আগস্ট ২০১৭

অভিযোগ জানাতে দুর্নীতি দমন কমিশনের হটলাইন খোলার প্রথম সাত-আট কর্মদিবসেই প্রায় এক লাখ ফোনকল এসেছে৷ এর অর্থ দুদকের প্রতি মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান৷

https://p.dw.com/p/2hqgI
Symbolbild Korruption
ছবি: Fotolia/Natalia D.

গেল ২৭শে জুলাই কমিশন হটলাইন ১০৬ চালু করে৷ উদ্দেশ্য ছিল এর মাধ্যমে দুর্নীতি ঠেকাতে আরো ঘনিষ্ঠভাবে জনগণের সঙ্গে কাজ করা৷ এতে ব্যাপক সাড়াও মিলেছে৷ প্রথম দিনেই প্রায় ২,০০০ কল আসে৷ আর এক সপ্তাহের মাথায় সংখ্যাটি প্রায় পৌনে এক লাখে পৌঁছায়৷

তবে বেশিরভাগ অভিযোগই দুদক আইনের আওতার বাইরে বলে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন কমিশনের মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য৷ ‘‘অনেকেই পারিবারিক বিষয়ে অভিযোগ করছেন৷ যৌতুকের অভিযোগও আসছে৷ কিন্তু এগুলো আমাদের এখতিয়ারে নয়৷''

দুদক আইনের আওতায় যেসব বিষয় পরে, তা হলো, সরকারি অফিস ও প্রতিষ্ঠানগুলোতে ঘুষ দেয়া বা নেয়া, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও অর্থের অবৈধ ব্যবহার, রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎ করা, অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন, মানি লন্ডারিং ও ব্যাংক জালিয়াতি৷

দুদক কর্মকর্তারা মনে করেন, জনগণ আস্তে আস্তে বিষয়টিতে অভ্যস্ত হবেন৷

যেসব অভিযোগ আমলে নেয়া হয়েছে তার বেশিরভাগই সরকারি ভূমি রেকর্ড অফিস, সেবা খাতের প্রতিষ্ঠান, সরকারি হাসপাতাল ও স্কুল এবং সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে৷

‘দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের নিচে একমাত্র আফগানিস্তান’

দুদকে হাজার হাজার অভিযোগ জমা পড়া সংস্থাটির প্রতি মানুষের আস্থার বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান৷ ‘‘এর অর্থ মানুষের মধ্যে দুদকের প্রতি প্রত্যাশা বেড়েছে৷ দুদকের বর্তমান নেতৃত্বের প্রতি আস্থা তৈরি হয়েছে৷'' বলছিলেন তিনি৷

তবে এটি দুদকের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ বলেও মনে করেন ড. ইফতেখার৷ ‘‘দুদককে এই আস্থা ধরে রাখতে হলে যেসব অভিযোগ আসছে, সেগুলো তদন্ত করে দেখতে হবে এবং ব্যবস্থা নিতে হবে৷ এটা তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ৷''

তবে  দুদক আইনের আওতায় দুর্নীতির যেসব খাত আছে,  সেগুলোতে দুর্নীতি ‘বিশাল' ও ‘গভীর' বলে মন্তব্য করেন তিনি৷

গত বছরের হিসেবে দুর্নীতি সূচকে ১০০ পয়েন্টের মধ্যে বাংলাদেশের পয়েন্ট ২৭৷ এটি ৪৩ হলে মোটামুটি একটা পর্যায় পর্যন্ত দুর্নীতি রোধ করা গেছে বলে মনে করা হয়৷

ড. ইফতেখার বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত দুর্নীতিতে এক নম্বরে থাকা বাংলাদেশের অবস্থান এখন আগের চেয়ে ভালো হয়েছে৷ ‘‘কিন্তু এখনো আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় নিচের দিক থেকে দ্বিতীয়৷ আমাদের নীচে একমাত্র আফগানিস্তান৷''

টিআইবির সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায়, দেশের ৬৮ শতাংশ মানুষ সেবা খাতে দুর্নীতির শিকার৷

দুদকের হটলাইন উদ্বোধন করতে এসে অর্থমন্ত্রী ‘সবাই পরোক্ষভাবে দুর্নীতিতে জড়িত' বলে যে মন্তব্য করেছেন তার সমালোচনা করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, এ ধরনের মন্তব্য ঠিক না৷

‘‘সেবা খাতে যারা দুর্নীতিবাজদের কারণে জিম্মি হয়ে জনগণ দুর্নীতির আশ্রয় নেয়৷ এই পরিস্থিতি বদলাতে হবে৷''

ড. ইফতেখার মনে করেন, এক ধরনের হতাশা বা হাল ছেড়ে দেয়ার মতো এ ধরনের মন্তব্য দুর্নীতি ঠেকাতে সরকারের সামর্থ্যহীনতা যতটা না প্রকাশ করে, তার চেয়ে সদিচ্ছার অভাবের প্রশ্নটিই সামনে আনে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান