দুদকের মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীরা
২৮ জুন ২০১৬জার্মানির বন শহরে গত ১৩ থেকে ১৫ জুন অনুষ্ঠিত হয় গ্লোবাল মিডিয়া ফোরাম৷ ডয়চে ভেলের উদ্যোগে আয়োজিত বাৎসরিক এই ফোরামে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন৷ চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে আসা অতিথিদের মধ্যে ছিলেন দুদক-এর মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড জয়ী পাঁচ সাংবাদিক এবং অ্যাওয়ার্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত কয়েকজন৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, জার্মান ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন (জিআইজেড), প্রেস ইন্সটিটিউট অফ বাংলাদেশ (পিআইবি) এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহযোগিতায় দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক রিপোর্টিং-এর জন্য সাংবাদিকদের দুদক মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড দেয়া হচ্ছে ২০১৩ সালে৷ চলতি বছরের বিজয়ীরা হচ্ছেন কুন্তাল রয়, সোহেল আহমেদ, মো. মাহবুবুল আলম, ওয়াহিদুজ্জামান, কাজল হাজরা৷
প্রতিযোগিতা সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এই প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য হচ্ছে সাংবাদিকদের দুর্নীতি প্রতিরোধের উপরে কাজ করতে আরো উৎসাহ দেয়া৷ বাংলাদেশে দুর্নীতি নিয়ে অনেক রিপোর্ট হয়েছে, তবে প্রতিরোধের বিষয়টি মাথায় রেখে তেমন একটা কাজ হচ্ছিল না৷ এই অ্যাওয়ার্ড দুর্নীতি প্রতিরোধকে গুরুত্ব দিচ্ছে৷''
দুদক-এর পুরস্কারজয়ী সাংবাদিকদের সঙ্গে জার্মানি সফর করেন প্রতিযোগিতার অন্যতম সহযোগী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপারসন প্রফেসর মো. মফিজুর রহমান৷ তিনি জানান, সবাই চায় সমাজ প্রতিটি পর্যায়ে দুর্নীতিমুক্ত হোক৷ এ জন্য যে কোনো উদ্যোগই ভালো৷
তবে প্রফেসর রহমান মনে করেন, মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে স্বল্পসময়ের জন্য একটি প্রভাব সৃষ্টি করা গেলেও দীর্ঘমেয়াদে সমাজে প্রভাব সৃষ্টিতে আরো উদ্যোগ প্রয়োজন৷ তিনি বলেন, ‘‘অ্যাওয়ার্ড দিয়ে সাময়িক সময়ের জন্য একটা ইম্প্যাক্ট তৈরি করা যেতে পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে সমাজে একটা প্রভাব আনতে গেলে সেই আকাঙ্খাটা সাংবাদিকদের মধ্য থেকে আসতে হবে৷ এবং গণমাধ্যমের মালিকানার দিক থেকে আসতে হবে৷''
দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক ড. মো. সামসুল আরেফিন জানান, মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড সাংবাদিকদের মধ্যে দুর্নীতি প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করতে উৎসাহ বাড়াচ্ছে৷ আর পুরস্কার বিজয়ীরা এই বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদে কাজও করছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘যারা পুরস্কার পাচ্ছে, আমি মনে করি না তাঁরা শুধু পুরস্কারের জন্যই প্রতিবেদনগুলো ছাপেন৷ নিজেদের মনের তাগিদ থেকে তাঁরা সেগুলো ছাপেন৷ দেশের প্রতি তাঁদের দায়িত্ববোধ, সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাদের বলিষ্ঠ অবস্থান – এগুলো থেকেই তাঁরা আসলে রিপোর্টটা করে থাকেন৷''
প্রতিবেদনটি নিয়ে আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখে জানান, নীচের ঘরে৷