1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুই দিনের সফরে ভারতে বরিস জনসন

২২ এপ্রিল ২০২২

ভারতের সঙ্গে এক বিলিয়ন পাউন্ডের বাণিজ্যচুক্তি হতে পারে যুক্তরাজ্যের। ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়েও মোদী-জনসন কথা হওয়ার সম্ভাবনা।

https://p.dw.com/p/4AGhV
বরিস জনসন
ছবি: Stefan Rousseau/AP Photo/picture alliance

বৃহস্পতিবার রাতে দুইদিনের ভারত সফরে এসে পৌঁছেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা। সব ঠিক থাকলে দুই দেশের মধ্যে এক বিলিয়ন পাউন্ডের বাণিজ্য চুক্তি হতে পারে। পাশাপাশি, এশিয়া প্যাসিফিকের নিরাপত্তা, সামরিক সহযোগিতা নিয়েও দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হতে পারে। বস্তুত, আগেই ভারত এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে সামরিক সহযোগিতার চুক্তি হয়েছিল। তবে এই সমস্ত আলোচনার বাইরে ইউক্রেন পরিস্থিতি এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে বলে মনে করছেন দেশের কূটনৈতিক মহলের একাংশ।

বৃহস্পতিবার প্রথমে গুজরাটেরবিমানবন্দরে এসে পৌঁছান বরিস। ওইদিন রাতেই তিনি দিল্লি যান। শুক্রবার নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ভবন এবং তারপর রাজঘাট ঘুরে বৈঠকে বসার কথা তার। দুপুরে জনসনের দেখা হওয়ার কথা পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে। হায়দরাবাদ হাউসে সেই বৈঠকের পর দুই দেশের যৌথ বিবৃতি দেওয়ার কথা।

ভারি শিল্প, সফটওয়্যার প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্যখাতে বিপুল পরিমাণ বাণিজ্য চুক্তি হওয়ার কথা। যে চুক্তি থেকে যুক্তরাজ্যে ১১ হাজার নতুন কর্মসংস্থা তৈরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

নতুন চুক্তিতে একটি ইলেকট্রিক বাসের প্রকল্প রূপায়ন হওয়ার কথা। এরআরএনডি সেন্টার তৈরি হবে যুক্তরাজ্যে। তার এশিয়া প্যাসিফিক হেডকোয়ার্টার হবে ভারতের চেন্নাইতে। যুক্তরাজ্য এবং ভারতে এর ফলে এক হাজার নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হবে। দুইটি ভারতীয় অটো মোবাইল সংস্থার বৃদ্ধি নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা। এছাড়া একাধিক সফটওয়্যার সংস্থায় ৭৯ মিলিয়ন পাউন্ডের বাণিজ্যচুক্তি হওয়ার কথা।

ভারতের মহাকাশ গবেষণা নিয়েও দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা। নতুন উপগ্রহ প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা তাদের।

এছাড়াও সামরিক সহযোগিতা এবং এশিয়া প্যাসিফিকের নিরাপত্তা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হওয়ার কথা। বস্তুত, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পরে গোটা বিশ্বে কূটনীতির যে নতুন বাতাবরণ তৈরি হয়েছে সেখানে ভারত এবং যুক্তরাজ্যের অবস্থান নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এনডিটিভি)