সমুদ্রসীমা বিরোধ
১৪ মার্চ ২০১২বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তিতে ২০০৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর সমঝোতার ভিত্তিতে আইটিএলওএস'এ নিষ্পত্তির জন্য যায়৷ প্রায় তিন বছরের আইনি লড়াই শেষে সমুদ্র আইন বিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের এক্সক্লুসিভ ইকনমিক জোন দুইশ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তারের পক্ষে রায় দিয়েছে৷ এই রায়ের ফলে জ্বালানি সঙ্কটের অবসানসহ সামুদ্রিক সম্পদের ব্যবহার – অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ লাভবান হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন৷
ডয়চে ভেলেকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘‘বর্তমান সরকার, বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছেন, কারণ বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের এই সমুদ্র সম্পদের উপর আমাদের অধিকার প্রয়োজন৷ সেজন্য সুদৃঢ় এরকম এক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন ছিল৷'' তিনি আরও বলেন, অন্য কোনো সরকার এই পদক্ষেপ না নেওয়া সত্ত্বেও জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষা করেছে৷
আন্তর্জাতিক স্তরে দীর্ঘ এই আইনি প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে যে মূল্যবান অভিজ্ঞতা অর্জিত হলো, তা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ কি অন্যান্য এমন বিরোধের মীমাংসা করতে পারবে? এই প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, ‘‘জাতি ও দেশের জন্য, সরকারের জন্য এটা একটা বিরাট অভিজ্ঞতা৷ বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় যা কিছু করণীয়, সেটি আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় হোক, কিংবা আইনসম্মত অন্য যে কোনো পদ্ধতি হোক, আমাদের জনগণের স্বার্থরক্ষায় সকল পদ্ধতি আমরা কাজে লাগাতে প্রস্তুত৷'' তবে আদালত ছাড়াও অন্যান্য আইনি পদ্ধতির কথাও উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷
ভারতের সঙ্গে পানিবণ্টন নিয়ে যে সমস্যা চলছে, মিয়ানমারের সঙ্গে মীমাংসার পর সেক্ষেত্রে অগ্রগতির সম্ভাবনা সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বললেন, বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার আরও অনেক লড়াই রয়েছে৷ তবে দাবি ন্যায্য হলে সময় লাগলেও তা নিশ্চয় প্রতিষ্ঠিত হবে৷
সাক্ষাৎকার: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ