1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সমুদ্রসীমার ফয়সালা হলে প্রতিবেশীদের মধ্যে সম্পর্কের আরও উন্নতি হবে: ড.দীপু মনি

১২ সেপ্টেম্বর ২০১১

বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তিতে জার্মানির হামবুর্গ শহরে সমুদ্র আইন বিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে শুনানি শুরু হয়েছে৷ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা.দীপু মনি শুক্রবার সেখানে উপস্থিত ছিলেন৷

https://p.dw.com/p/12X3g
Außenministerin von Bangladesch, Dr. Dipu Moni, hat das Funkhaus besucht. In einem Redaktionsgespräch im Raum Nauen hat sie den Standpunkt ihrer Regierung zur internationalen Klimapolitik vertreten. Foto: Sanjiv Burman
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা.দীপু মনিছবি: DW

ডয়চে ভেলের সঙ্গে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রথমেই এই বিরোধের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন৷ তিনি মনে করিয়ে দেন, যে ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে টেরিটোরিয়াল ওয়াটার্স ও মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট করা হয়েছিল৷ তখন থেকেই মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল৷ ১৯৭৪ সালেই দ্বিতীয় দফার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ঐকমত্য হয়৷ দুই প্রতিনিধিদলের নেতাই আলোচনার মিনিটস সম্পর্কে একটি নথিতে স্বাক্ষর করেন৷ গত তিন দশক ধরে দুই দেশই সেটি মেনে চলেছে৷

Erik Bettermann, Dr. Dipu Moni
ডয়চে ভেলের মহাপরিচালক এরিক বেটারমানের সঙ্গে দীপু মনিছবি: DW

সেই বোঝাপড়া অনুযায়ী বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দক্ষিণতম বিন্দুটি থেকে ১২ মাইল দক্ষিণে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা ধার্য করা হয়েছিল৷ ২০০৮ সালে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে নতুন আলোচনার সময়ে মিয়ানমার সেটিকে সংশোধনের উদ্যোগ নেয়৷ অর্থাৎ আগের বোঝাপড়ার ভিত্তিতেই তারা কিছু পরিবর্তনের কথা বলে৷ কিন্তু দীর্ঘ তিন দশক ধরে আলোচনা সত্ত্বেও যেহেতু বিষয়টি চূড়ান্ত সুরাহা করা সম্ভব হয় নি, তাই বাংলাদেশের সরকার আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে বিরোধের মীমাংসার পথে এগোনোর উদ্যোগ শুরু করে৷ উভয় পক্ষের সম্মতিতেই বিষয়টি ২০০৯ সালে সমুদ্র আইন বিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে তোলা হয়েছে৷ চলতি বছরের ৮ই সেপ্টেম্বর থেকে মামলার শুনানি শুরু হয়েছে৷ মিয়ানমার এখন ১৯৭৪ সালের বোঝাপড়া মানতে চাইছে না৷ এমনকি সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অস্তিত্বই মানতে চাইছে না সেদেশ৷ ফলে দুই দেশই আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের যুক্তি তুলে ধরছে৷ বাংলাদেশ সমুদ্র আইন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিরোধের অতীতের নজির তুলে ধরে সেই বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইনের বৈধতা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে৷

সাক্ষাৎকার: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক