দলের প্রধানের দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন ম্যার্কেল
২৯ অক্টোবর ২০১৮সোমবার প্রথমে বিষয়টি নিয়ে কানাঘুষা চললেও দুপুরের দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্বয়ং ম্যার্কেল৷ ১৮ বছর ধরে সিডিইউ প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি৷ তবে চ্যান্সেলর হিসেবে এখনই তিনি দায়িত্ব ছাড়তে রাজি নন৷ বরং এ মেয়াদ শেষ করে তবেই অবসরে যাওয়ার কথা ভাবছেন৷ পরবর্তীতে চ্যান্সেলর মেয়াদেও আর লড়বেন না বলে জানিয়েছেন৷ বর্তমান মেয়াদ থাকবে ২০২১ সাল পর্যন্ত৷
সম্প্রতি বাভেরিয়া ও গতকাল হেসে নির্বাচনে দলের সমর্থনে বিরাট ধস নামার পরই এমন সিদ্ধান্ত নিলেন ম্যার্কেল৷
মার্চে চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর থেকেই সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল ম্যার্কেলের সিডিইউ, সহযোগী সিএসইউ ও সামাজিক গণতন্ত্রীদের মহাজোট৷ নানা বিষয়ে দলগুলোর অভ্যন্তরীণ মতপার্থক্য ভাঙ্গনের মতো সংকটও তৈরি করেছে৷ এরই মধ্যে বাভেরিয়া ও হেসে’তে জোটের ভরাডুবির কারণে রীতিমত দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে ম্যার্কেলের৷
সেজন্যই তিনি সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে বিশ্লেষকদের মত৷
আগামী ডিসেম্বরে দলীয় কংগ্রেসেই দায়িত্ব হস্তান্তরের সম্ভাবনা রয়েছে৷ সোমবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন যে, এই দায়িত্ব হস্তান্তরের মধ্যে তিনি কোনো ‘ঝুঁকি’ দেখেন না৷ বরং অনেক সুযোগ তৈরি হচ্ছে বলে মনে করেন৷
ম্যার্কেলের উত্তরসূরী কে হবেন এ প্রশ্ন ঘুরছিল সকাল থেকেই৷ এ পদের জন্য বর্তমান স্বাস্থ্য মন্ত্রী ইয়েন্স স্পান ও দলের সাধারণ সম্পাদক আনেগ্রেট ক্রাম্প-কারেনবাওয়ার এরই মধ্যে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ম্যার্কেল৷
‘‘এখন নতুন অধ্যায় শুরুর সময়,’’ বলেন ম্যার্কেল৷ পরবর্তীতে কে দলের হাল ধরবেন সে বিষয়েও কোনো প্রভাব বিস্তার করবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি৷
‘‘এটা দলের ভেতরকার সুন্দর একটা পদ্ধতি৷ গত ১৮ বছরে কেউ প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেননি,’’ বলেন সিডিইউ প্রধান৷
এর আগে সোমবার সকালে দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে ম্যার্কেলের দলের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর খবর প্রকাশ করে জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ৷ তারা বলে যে, সকালেই সিদ্ধান্তের কথাদলকে জানিয়েছেন ম্যার্কেল৷দৈনিক ‘বিল্ড' পত্রিকা জানায়, ভবিষ্যতে ম্যার্কেল দলের প্রধানের দায়িত্বে আর লড়বেন না৷
চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের পূর্বসুরি সামাজিক গণতন্ত্রীপার্টির সাবেক প্রধান গেয়ারহার্ড শ্রোয়েডার এর আগে ২০০৪ সালে দলের প্রধানের দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দেন৷ তবে চ্যান্সেলরের দায়িত্ব ছাড়েননি৷
ম্যার্কেল ২০০০ সাল থেকে সিডিইউ'র নেতৃত্বে আছেন৷ ২০০৫ সালে তিনি প্রথমবার চ্যান্সেলর নির্বাচিত হন৷
জেডএ/এসিবি (ডিপিএ, এপি)