হেসে’তে ম্যার্কেলদের লিটমাস পরীক্ষা
২৬ অক্টোবর ২০১৮তাই ক্ষমতাসীন সিডিইউ-সিএসইউ ও এসপিডি জোট সরকারের জন্য এই ভোট কঠিন পরীক্ষারই নামান্তর৷ ১৩ বছর ধরে চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করা ম্যার্কেল আর কতদূর নেতৃত্ব টেনে নিতে পারবেন তারও হিসেব-নিকেষ এবার হয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷
হেসে রাজ্য মূলত জার্মানির অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের হাব, যার অন্তর্ভূক্ত অর্থনৈতিক রাজধানী বলে পরিচিত ফ্রাঙ্কফুর্টও৷ প্রায় ৪৪ লাখ মানুষ এ নির্বাচনে ভোট দেবেন৷ ম্যার্কেলের ক্রিস্টিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন এ অঞ্চলে তাদের ১৯ বছরের কর্তৃত্ব কতটা ধরে রাখতে পারবে, সেটিই দেখার বিষয়৷
গত ১৪ অক্টোবর বাভেরিয়া নির্বাচনে মহাজোট সরকারে থাকা ম্যার্কেলের সিডিইউ'র সহযোগী সিএসইউ ও এসপিডি উভয়েরই ভরাডুবি হয়েছে৷
‘‘মানুষ অপেক্ষায় আছে কী হয়, তার জন্য৷ আগামী সপ্তাহটা খুবই টালমাটাল যাবে মনে হচ্ছে,’’ এপি’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন বার্লিনের ফ্রি ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক থরস্টেন ফাস৷
‘‘সিডিইউ ও সামাজিক গণতন্ত্রীরা খুব ভালো কিছু করে ফেলবে, তা আশা করা কঠিন,’’ বলেন তিনি৷
তিনি মনে করেন, ফলাফলের ওপর নির্ভর করে হয় ম্যার্কেল, নয় এসপিডি’র নেতা আন্দ্রেয়া নাহলেস ভবিষ্যৎ নিয়ে দলের ভেতর প্রশ্নের মুখে পড়বেন৷
‘‘এর অর্থ মহাজোট সাগরের অতলে নিমজ্জিত হতে যাচ্ছে,’’ বলেন ফাস৷
হেসে রাজ্যে বর্তমানে ক্ষমতায় আছে রক্ষণশীল সিডিইউ ও বামঘেঁষা সবুজ দলের জোট৷ এই প্রথম এমন কোনো জোট পুরো একটি মেয়াদ সম্পন্ন করতে পেরেছে৷
স্থানীয়রা রাজ্য প্রশাসনের ওপর অখুশি নন৷ তবে সিডিইউ'র জনপ্রিয়তায় ধস ভোগাতে পারে এবার৷ আর সামাজিক গণতন্ত্রীদের অবস্থা তো আরো করুণ৷
সাম্প্রতিক জরিপ বলছে, সিডিইউ'র সমর্থন এখানে ২০১৩ সালের ৩৮ দশমিক ৩ ভাগ থেকে নেমেছে ২৬ ভাগে৷ আর এসপিডি'র ৩০ দশমিক ৭ ভাগ থেকে হয়েছে ২১ ভাগ৷ অথচ এই পাঁচ বছরে সবুজ দলের জনপ্রিয়তা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২২ ভাগে উঠে এসেছে৷ অতি ডানপন্থি এএফডি'র সমর্থন আছে ১২ ভাগ৷
জেডএ/এসিবি (এপি)