ত্রিপোলির কাছে এসে পড়েছে বিদ্রোহীরা
৭ জুলাই ২০১১বিদ্রোহী বাহিনীর সাফল্য
ন্যাটো বাহিনীর বিমান হামলা সত্ত্বেও লিবিয়ার বিদ্রোহীরা গাদ্দাফির বাহিনীর বিরুদ্ধে সংগ্রামে যথেষ্ট সাফল্য পাচ্ছে না – বা পেলেও তা ধরে রাখতে পারছে না৷ এমন একটা ধারণা শুরু থেকেই চালু আছে৷ গত দুই দিন ধরে এই এলাকায় ন্যাটোর বিমান হামলার ফায়দা তুলে আজ তারা পৌঁছে গেছে রাজধানী ত্রিপোলির মাত্র ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে আল কাওয়ালিশ গ্রামে৷ নাফুসা পাহাড়ে গারিয়ান শহরের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি এই এলাকায় পড়ে৷ তাই বিদ্রোহীরা গোটা এলাকার উপর স্থায়ী কব্জা করতে পারলে গাদ্দাফি বাহিনীর পক্ষে ত্রিপোলি রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়তে পারে৷ তার উপর পশ্চিমের মিসরাটা শহর থেকে বিদ্রোহী বাহিনী ত্রিপোলি থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার দূরে জ্লিটান শহরের কাছে এসে পড়েছে৷
রাজধানীর কাছে বিরোধীদের এমন সাঁড়াশি হামলা এর আগে দেখা যায় নি৷ তাছাড়া ন্যাটোও এই এলাকায় বিদ্রোহীদের সাহায্য করতে কিছু সুনির্দিষ্ট হামলা চালিয়েছে৷ তারা অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম বোঝাই ৭টি গুদামের উপর হামলা চালিয়েছে৷ গারিয়ান শহরের কাছে ৪টি ট্যাঙ্ক ধ্বংস করার পর বিমান বিধ্বংসী একটি কামানও অচল করে দেওয়া হয়েছে৷ জ্লিটান শহরে ৮টি সামরিক গাড়িও ধ্বংস করে দিয়েছে ন্যাটো৷
বিপাকে গাদ্দাফি প্রশাসন
এভাবে অগ্রসর হলে গ্রামাঞ্চলে বিদ্রোহীরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ পাকা করতে পারছে বটে, কিন্তু গাদ্দাফি বাহিনীর বিরুদ্ধে জোরালো আঘাত আনতে পারে নি৷ তবে বিদ্রোহীরা ত্রিপোলির এত কাছে এসে পড়ায় গাদ্দাফি প্রশাসন আলোচনার মাধ্যমে কোনো একটা রফার চেষ্টা চালাতে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা৷ তাছাড়া ত্রিপোলির দক্ষিণ-পশ্চিমে জেবেল নাফুসা পাহাড়ের মানুষ গাদ্দাফির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছে, এমন একটা খবরও শোনা যাচ্ছে৷ আলাদা করে এই সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা গাদ্দাফি প্রশাসনকে তেমন দুর্বল করতে না পারলেও সব মিলিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে ত্রিপোলির শাসক মহল৷
বেনগাজিতে চীনের প্রতিনিধি
অবশ্যই৷ কারণ, চীন এতকাল সরকারিভাবে কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি গ্রহণ করে এসেছে৷ চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আফ্রিকা বিভাগের প্রধান চেন শাওডং বেনগাজিতে এসে সংকটের দ্রুত রাজনৈতিক সমাধানের ডাক দিয়েছেন৷ কিন্তু বেনগাজিতে তাঁর উপস্থিতি গাদ্দাফি প্রশাসনের জন্য বড় এক ব্যর্থতা হিসেবেই গণ্য করা হচ্ছে৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ