গাদ্দাফির হুমকির বদলে গণতন্ত্র দেওয়া উচিৎ: ক্লিন্টন
৩ জুলাই ২০১১গাদ্দাফি বলেছেন, ‘তারা তোমাদের ঘরবাড়ি, অফিস-কাছারি আক্রমণ করবে৷ তোমাদের পরিবারবর্গ বৈধ সামরিক লক্ষ্য হয়ে উঠতে পারে, কেননা তোমরা আমাদের অফিস-কাছারি, হেডকোয়ার্টার্স, বাড়িঘর এবং ছেলেমেয়েদের সামরিক লক্ষ্যে পরিণত করেছ, যা তোমরা বলছ সবই বৈধ লক্ষ্য৷'
ন্যাটোর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া
লক্ষণীয়, গাদ্দাফির বিমানবাহিনী কি নৌবাহিনী এখন অকেজো৷ কাজেই গাদ্দাফি যে প্রকাশ্য হুমকিটা দিচ্ছেন, সেটা কি প্রচ্ছন্ন সন্ত্রাসের হুমকি? ন্যাটো স্বভাবতই গাদ্দাফি'কে সে ধরনের প্রচারণা ও শঙ্কা সৃষ্টির সুযোগ দিতে চায় না৷ তাই স্পেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ত্রিনিদাদ হিমেনেজ শুধুমাত্র বলেছেন, গাদ্দাফির সব হুমকি সত্ত্বেও ন্যাটো তার উপর চাপ অব্যাহত রাখবে৷ এই সংবাদ সম্মেলনে হিমেনেজের পাশে ছিলেন হিলারি ক্লিন্টন৷ ক্লিন্টন বলেছেন, ন্যাটোর নেতৃত্বাধীন অভিযান ঠিকমতো চলেছে, গাদ্দাফির উপর চাপ বাড়ছে এবং বিদ্রোহীরা আরো বেশি শক্তি ও গতিবেগ পাচ্ছে৷ ‘আমাদের এ'ব্যাপারটা শেষ অবধি দেখতে হবে,' মন্তব্য করেন ক্লিন্টন৷
কিন্তু ১০৪ দিন ধরে ন্যাটোর বোমাবর্ষণ চলার পরেও তো ব্যাপারটা শেষ হবার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷ গোলমালটা সেখানেই৷ যেমন বিদ্রোহীরা রাজধানী ত্রিপোলির ৮০ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছনোর পর শুক্রবার হঠাৎ সরকারি সেনাবাহিনীর রকেট আক্রমণের সম্মুখীন হয়৷ এখন তারা নাকি আবার ত্রিপোলির দিকে অগ্রসর হবার পরিকল্পনা করছে৷
সংঘাত সমাধানের রাজনৈতিক প্রচেষ্টা
সেটা একমাত্র গাদ্দাফির বিদায়ের মাধ্যমেই সম্ভব৷ তাঁর বিরুদ্ধে দ্য হেগের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা গাদ্দাফিকে আরো কোণঠাসা করেছে৷ কাজেই রয়টার্সের খবর যদি সত্যি হয় এবং আফ্রিকান ইউনিয়নের নেতারা শুক্রবার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন যে, তারা ঐ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকরি করবেন না, তা'হলে গাদ্দাফি এইউ'এর ৫৩টি দেশের যে কোনোটিতে যাত্রা করতে পারেন৷ মজার কথা, সেটা ন্যাটোর পক্ষেও একটা স্বস্তির ব্যাপার হবে৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম