তুরস্কে খনি বিস্ফোরণে নিহত দুই শতাধিক
১৪ মে ২০১৪তবে তুরস্কের জ্বালানি মন্ত্রী তানের ইলদিজ জানান, খনিতে আটকে পড়াদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে৷ মানিসা রাজ্যের একটি কয়লা খনিতে মঙ্গলবার এ দুর্ঘটনা ঘটে৷
জ্বালানি মন্ত্রী বলেন, ‘‘মৃতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলেই আমরা আশঙ্কা করছি৷ আর এটাও বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, আটকে পড়াদের জীবিত উদ্ধারের আশা ক্রমশই ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে৷’’ খনিতে আগুন জ্বলতে থাকা এবং বিষাক্ত কার্বন মনোক্সাইড ছড়িয়ে পড়ার কারণে উদ্ধার তৎপরতা বিঘ্নিত হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷ একটি ত্রুটিপূর্ণ বৈদ্যুতিক ট্র্যান্সফর্মারের কারণে এ বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ তুরস্কের কোনো খনিতে এর আগে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি৷
ইস্তানবুলের ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণের এই খনির কাছে এখন হাজার মানুষের ভিড়৷ সবাই চরম উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছেন৷ প্রিয়জনদের দেখা না পাওয়ায় কাঁদছেন অনেকে৷ সেনা ইসবিলার তাঁর সন্তানের জন্য কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, ‘‘দুপুর থেকে আমি আমার ছেলেকে দেখার অপেক্ষায় আছি৷ অথচ এখনো ওর ব্যাপারে কিছু জানতে পারিনি৷’’
আরুম উনজার সোমা শহরের এই কয়লা খনিরই কর্মী৷ আটকে পড়া সহকর্মীদের জন্য তিনিও উৎকণ্ঠিত৷ তিনি বলছিলেন, ‘‘দুর্ঘটনার শিকার সকলেই আমার বন্ধু৷ আমরা একটা পরিবার৷ পরিবারটা আজ তছনছ হয়ে গেল৷ ওদের ব্যাপারে খুব কম খবরই পাচ্ছি৷ যা পাচ্ছি সবই খারাপ খবর৷’’
মঙ্গলবার সোমার এই খনিতে মোট ৭৮৭ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন৷ এ পর্যন্ত যাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে তাঁদের মধ্যে অন্তত চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷
এসিবি/ডিজি (এপি, রয়টার্স, ডিপিএ, এএফপি)