খনি দুর্ঘটনা নিয়ে ছবি
২৩ মে ২০১৩এবার সেই দুর্ঘটনাকে রূপালি পর্দায় তুলে ধরা হবে৷ আর তাতে অভিনয় করবেন ‘ডেসপারেডো' খ্যাত অভিনেতা আন্তোনিও বান্দেরাস৷ ‘দি ৩৩' নামের এই চলচ্চিত্রের প্রযোজক মাইক মেডাভয় সম্প্রতি এই তথ্যাটি জানিয়েছেন৷
দুর্ঘটনাস্থল চিলির অ্যাটাকামা মরুভূমিতে আসছে শরতে মুভি তৈরির কাজ শুরু হবে৷ মেক্সিকোর পরিচালক প্যাট্রিসিয়া রিগেন এটি পরিচালনা করবেন৷
বান্দেরাসের অভিনয়ের খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন মারিও সেপুলভেডা৷ তিনি ঐ ৩৩ খনি শ্রমিকের একজন ছিলেন৷ তবে সারা বিশ্বের কাছে বেশি পরিচিতি পেয়েছেন উদ্ধারকাজ চলার সময় ভিডিও-র মাধ্যমে আটকে পড়া শ্রমিকদের নিয়মিত খবরাখবর দিয়ে৷ তাই গণমাধ্যমে তাঁকে ডাকা হতো ‘সুপার মারিও' নামে৷
তিনি বলছেন, ‘‘বান্দেরাস অভিনয় করবেন শুনে আমি বেশ রোমাঞ্চিত৷ আমি তাঁর অভিনয়ের বিশেষ ভক্ত৷ আশা করছি, মুভিটি দেখে দর্শকরা জীবনের মূল্য যে কত, তা বুঝতে পারবে৷
‘‘৬৯ দিন খনিতে আটকে থাকার কারণে আমরা জানি জীবনে বেঁচে থাকা, ভালোবাসার মানুষদের সঙ্গে সময় কাটানোর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কোনো কিছু নেই৷''
২০১০ সালের ৫ই আগস্ট বিকেলে দুর্ঘটনার সূত্রপাত৷ এর ১৭ দিন পর ৩৩ জন খনি শ্রমিকের বেঁচে থাকার খবর পাওয়া যায়৷ এই ১৭ দিন তারা তাদের কাছে থাকা দু'দিনের খাবার খেয়ে থেকেছেন৷ এরপর তাদের কাছে খাবার পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷
১৩ অক্টোবরের প্রথম প্রহরে একে একে তাদের বের করে আনা হয়৷ সারা বিশ্বের গণমাধ্যমে সেই দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার করা হয়৷
বর্তমান অবস্থা
উদ্ধার হওয়ার কিছুদিন পর কয়েকজনের মানসিক সমস্যা দেখা দেয়৷ কারও কারও এখনো রাতের বেলায় সেই দুর্বিসহ মুহূর্তের কথা মনে পড়ে৷ আর ‘সুপার মারিও' এখন বিভিন্ন জায়গায় জীবনের মূল্য সম্পর্কে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দিয়ে অর্থ উপার্জন করছেন৷
জেডএইচ/ডিজি (এপি)