1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তালেবান সরকারকে মানবিক সাহায্য নয়

২৯ ডিসেম্বর ২০২২

জার্মান সরকার এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। আফগানিস্তানে মেয়েদের এনজিও-তে কাজ করা বন্ধ করার পর এই সিদ্ধান্ত।

https://p.dw.com/p/4LVts
তালেবান
ছবি: Bilal Guler/AA/picture alliance

জার্মান সরকারের তরফে জানানো হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে তারা আফগানিস্তানে মানবিক সাহায্য পাঠাতো। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সঙ্গে জোট বেঁধে একাধিক কাজে তারা অংশ নিত। কিন্তু আফগানিস্তানের এনজিও-গুলিতে মেয়েদের কাজ করা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে তাদের পক্ষে ওই মানবিক সাহায্য পাঠানো আর সম্ভব নয়। তালেবান যে অমানবিক আচরণ করছে মেয়েদের সঙ্গে তা মেনে নেয়া সম্ভব নয় বলে স্পষ্ট জানানো হয়েছে।

জার্মান উন্নয়ন মন্ত্রী জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের এনজিওগুলির মাধ্যমে মানবিক সাহায্য পাঠানো হতো। দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই ওই সাহায্য পাঠানো হতো। কিন্তু তালেবান তা হতে দিচ্ছে না। একের পর এক অমানবিক কাজ করছে তারা। এনজিওগুলিতে নারীরা কাজ না করলে আর সাহায্য পাঠানো সম্ভব নয় বলে টুইট করেছেন তিনি।

আফগানিস্তানে নারীদের ত্রাণ সংস্থায় কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবকও একই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তালেবানের কাজকে অমানবিক এবং অন্যায় বলে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।

সপ্তাহখানেক আগে তালেবান পরপর দুইটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল। যা নিয়ে গোটা বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। তালেবান জানিয়েছে, মেয়েরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারবে না। বস্তুত, ষষ্ঠ শ্রেণির পর মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অন্যদিকে, এনজিও এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত সংস্থাগুলিতে নারীরা কাজ করতে পারবেন না বলে ফরমান জারি করা হয়েছে।

নতুন করে ক্ষমতায় আসার পর তালেবান জানিয়েছিল, মানবাধিকারের বিষয়গুলি মাথায় রাখা হবে। নারীদের পড়তে দেয়া হবে, কাজও করতে পারবেন তারা। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, ততই কঠোর হচ্ছে তালেবান। বস্তুত, শুধু জার্মানি নয়, ইউরোপের একাধিক দেশ আফগানিস্তানে সাহায্য পাঠানো বন্ধ করে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আফগানিস্তানে যে আন্তর্জাতিক এনজিও-গুলি কাজ করে, তারাও সাহায্য পাঠানো বন্ধ করে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ)