পাকিস্তানে জঙ্গি-সেনা সংঘর্ষ বাড়ছে, হত ছয়
২৬ ডিসেম্বর ২০২২পাকিস্তানের সেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রোববার বালুচিস্তানে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে সংঘর্ষে ছয়জন সেনার মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কয়েকজন।
গত নভেম্বরে তেহরিক-ই-তালেবান বা পাকিস্তানি তালেবানের সঙ্গে সরকারের আলোচনা ভেস্তে গেছে। তারপরই এই এলাকায় পাকিস্তানি তালেবানের সঙ্গে সেনার নিয়মিত সংঘর্ষ হচ্ছে।
কী হয়েছে?
পাকিস্তানের সেনা ও আইএসআই জানিয়েছে, তিনটি আলাদা ঘটনায় একজন সেনা ক্যাপ্টেন-সহ মোট ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে পাঁচজন মারা গেছেন কোহলু জেলায়। ঝব জেলায় সন্ত্রাসবাদীরা পকিস্তানে ঢুকতে চাইছিল। সেনার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের সংঘর্ষ হয় একজন সেনা মারা যান, দুইজন আহত হয়েছেন।
এছাড়া বালুচিস্তানে গ্রেনেড হামলায় ১১ জন আহত হয়েছেন। দুই দিন আগেই ইসলামাবাদে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে পুলিশের এক ড্রাইভারের মৃত্যু হয়েছে।
কেন সহিংসতা বাড়ছে?
বালুচিস্তানে আফগানিস্তান ও ইরানের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে পাকিস্তানের। নভেম্বরে অস্ত্রবিরতি প্রত্যাহার করে নেয় পাকিস্তানি তালেবান। তারপর থেকেই এখানে সংঘর্ষ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
আফগানিস্তানের তালেবান ও পাকিস্তানের তেহরিক-ই-তালেবান এক নয়। যদিও এই দুই সংগঠনের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে। দুই সংগঠনই কট্টর মতাদর্শে বিশ্বাস করে।
পাকিস্তানে কয়েক দশকের সহিংসতায় তেহরিক-ই-তালেবান ৮০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতায় আসা এবং অ্যামেরিকা ও ন্যাটো বাহিনীর চলে যাওয়ার পর তারা আরো সক্রিয় হয়েছে। তারা সেনা এবং বিভিন্ন গোষ্ঠীকে আক্রমণ করেছে।
বলুচিস্তানে চীনের বিনিয়োগ পরিকল্পনায় তেহরিক-ই-তালেবান রীতিমত ক্ষুব্ধ। চীন তাদের শিনজিয়াং থেকে বালোচিস্তান পর্যন্ত রাস্তা ও রেল ব্যবস্থা তৈরি করছে। আর শিনজিয়াংয়ে চীন উইগুর মুসলিমদের উপর অত্যাচার করে বলে বেশ কিছুদিন ধরে পশ্চিমা দেশগুলি সোচ্চার। পাকিস্তানি তালেবানও চীনের এই বিনিয়োগের বিরোধী।
জিএইচ/এসজি(ডিপিএ, এপি)