ইইউ-র সঙ্গে আলোচনা চায় ব্রিটেন
১৯ অক্টোবর ২০২০ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন গত শুক্রবারের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রেক্সিট-পরবর্তী বোঝাপড়া চূড়ান্ত করার সময়সীমা স্থির করে দিয়েছিলেন৷ কিন্তু ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত নেতারা সেই হুঁশিয়ারি গ্রাহ্য করেন নি৷ উলটে মতমার্থক্য দূর করতে তাঁরা আরও কিছুদিন আলোচনার প্রস্তাব রেখেছিলেন৷ জবাবে জনসন সরাসরি সেই প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের প্রস্তুতি শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন৷
রবিবার জনসনের মন্ত্রিসভার প্রভাবশালী মন্ত্রী মাইকেল গোভ বলেন, আলোচনার জন্য ব্রিটেনের দ্বার পুরোপুরি খোলা রয়েছে৷ স্কাই নিউজ চ্যানেলকে গোভ বলেন, তিনি এখনো চুক্তি চাইলেও সেটি সম্ভব করতে উভয় পক্ষকে আপোশ করতে হবে৷ ইইউ আপোশের কোনো লক্ষণ দেখাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন ব্রিটিশ মন্ত্রী৷
সোমবার ব্রেক্সিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্রিটিশ মন্ত্রী ডেভিড ফ্রস্ট ও ইইউ-র প্রধান মধ্যস্থতাকারী মিশেল বার্নিয়ের মধ্যে আলোচনা আবার শুরু হবার কথা৷ শুক্রবার জনসনের বিবৃতির পর বার্নিয়েকে লন্ডনে আসতে মানা করেছিলেন গোভ৷ তার বদলে সোমবার টেলিফোনে তাঁরা কথা বলবেন৷ গোভ সোমবার ইইউ কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মারোস সেফকোভিচের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন৷ বিচ্ছেদ চুক্তি কার্যকর করার বিষয়ে আলোচনা করবেন তাঁরা৷
আগামী ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে দুই পক্ষের মধ্যে বোঝাপড়া হোক বা না হোক, সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ চালু করতেই হবে৷ বিশেষ করে ব্রিটেনের ব্যবসা-বাণিজ্য জগত এখনো পুরোপুরি সেই পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত নয়৷ চলতি সপ্তাহেই ব্রিটিশ সরকার এ বিষয়ে এক প্রচার অভিযান শুরু করছে৷ আর মাত্র ৭৪ দিনের মধ্যে প্রস্তুতি শেষ না করলে ব্রিটেনের প্রতিষ্ঠানগুলি সমস্যার মুখে পড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা বার বার মনে করিয়ে দিচ্ছেন৷ ব্রিটেনের ৭০টিরও বেশি ব্যবসায়িক সংগঠন সরকারের উদ্দেশ্যে ইইউ-র সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করার আবেদন জানিয়েছে৷
বিচ্ছেদ চুক্তির শর্ত ও আন্তর্জাতিক আইন ভেঙে ব্রিটেনের সরকার যুক্তরাজ্যের ঐক্য বিপন্ন করছে বলে আশঙ্কা করছেন ব্রিটেনের ক্যাথলিক ও অ্যাংলিকান গির্জার শীর্ষ নেতারা৷ এক বিরল যৌথ চিঠিতে তাঁরা যুক্তরাজ্যের চারটি অংশের মধ্যে সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন৷ উল্লেখ্য, সোমবার থেকে ব্রিটিশ সংসদের উচ্চ কক্ষে সরকারের প্রস্তাবিত আইন নিয়ে বিতর্ক শুরু হবে৷
এসবি/এসিবি (কেএম, রয়টার্স)