ডয়চে ভেলে ফ্রিডম অব স্পিচ অ্যাওয়ার্ড পেলেন টোবর ওভুওরি
৩ মে ২০২১নাইজেরিয়ার অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় এক পরিচিত মুখ টোবর ওভুওরি৷ বিভিন্ন সময় প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে গিয়ে জীবনের ঝুঁকিও নিয়েছেন তিনি৷ দেশটির মানবপাচার নেটওয়ার্কের অন্ধকার দিক তুলে ধরতে ভবিষ্যতে পতিতাবৃত্তিতে জড়াতে পারে এমন এক নারীর ছদ্মবেশেও কাজ করেছেন ওভুওরি৷
ডয়চে ভেলের অ্যাওয়ার্ড জয়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমি অত্যন্ত গর্বিত যে ডয়চে ভেলে এভাবে আমার কাজের স্বীকৃতি দিয়েছে৷ এটা আমার কাছে অনেক অর্থ বহন করে, কেননা, আমি নারীদের বাকস্বাধীনতা নিশ্চিতে এবং তাদের কথা তুলে ধরতে বদ্ধপরিকর৷''
ওভুওরি বলেন, ‘‘আমি আশা করি আমার কাজকে দেয়া এই স্বীকৃতি অনেক মেয়ে এবং নারীকে উৎসাহিত করবে, বিশেষ করে গবেষণাভিত্তিক সাংবাদিকতায় আরো অনেকে আগ্রহী হয়ে উঠবে৷''
টোবর ওভুওরিকে ফ্রিডম অব স্পিচ অ্যাওয়ার্ড দেয়া প্রসঙ্গে ডয়চে ভেলের মহাপরিচালক পেটার লিমবুর্গ বলেন, ‘‘আমি মনে করি, যখন কেউ সত্যের সন্ধানে এভাবে ঝুঁকি নেন, সব ধরনের সম্মানই তার প্রাপ্য৷ টোবর ওভুওরিকে সাংবাদিকতার সুবিধাজনক অবস্থা থেকে অনেক বাইরে গিয়ে কাজ করেছেন এবং এমন অনেক মানুষের সঙ্গে মিশেছেন যারা বিপজ্জনক৷ আমি মনে করি, যখন সাংবাদিকরা অন্যায় তুলে ধরতে এমনটা করেন, তা অসাধারণ ব্যাপার৷''
গত দশ বছর ধরে নাইজেরিয়ার প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমগুলোতে অনুসন্ধানী সাংবাদিক হিসেবে কাজ করছেন ওভুওরি৷ এখন অবধি সবচেয়ে আলোচিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালে, যেখানে তিনি যৌন এবং মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ পাচারের এক আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক উন্মোচন করেন৷ তার সেই প্রতিবেদনের পর নাইজেরিয়ার কর্তৃপক্ষ মানবপাচারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে৷
টোবর ওভুওরির কাজ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে একটি চলচ্চিত্র তৈরি করেছে নেটফ্লিক্স৷ সেখানে দেখানো হয়েছে কীভাবে একজন নাইজেরীয় তরুণ সাংবাদিক ছদ্মবেশে কাজ করে মানবপাচারের এক আন্তর্জাতিক চক্রের মুখোশ উন্মোচন করেছে৷
উল্লেখ্য, এখন অবধি সাতজন সাংবাদিককে ফ্রিডম অব স্পিচ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে ডয়চে ভেলে৷ ২০১৫ সালে এই অ্যাওয়ার্ড চালু করে জার্মানির আন্তর্জাতিক সম্প্রচারকেন্দ্রটি৷
প্রতিবেদন: ইউলিয়া ভন লিউভেন, ক্রিস্টোফ ইউম্পেল্ট / এআই